পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পাচ্ছেন লন্ডন অগ্নিকান্ড ক্ষতিগ্রস্তরা

Posted on June 22, 2017 | in আন্তর্জাতিক | by

বাঁধন: লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিলাসবহুল ফ্ল্যাট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। বুধবার এই ঘোষণা দেয় দেশটির স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই অগ্নিকান্ড ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কেনসিংটন রোতে ৬৮টি ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করেছে সরকার।

বিলাসবহুল এই ফ্ল্যাটগুলোর মূল্য শুরু হবে ১৫ লাখ পাউন্ড থেকে। চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষদিকেই এই ফ্ল্যাটগুলো নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

১৪ জুন লন্ডনের টাওয়ার ব্লকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড পুড়ে যায় ২৪ তলা ভবন গ্রেনফেল টাওয়ার। এখনও প্রকৃত নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি। নিশ্চিত হওয়া গেছে ৭৯ জনের মৃত্যুর বিষয়ে। ঘরহারা হয়েছেন শত শত মানুষ।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা কিছু আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন। ফলে খুব দ্রুত কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের কমিউনিটি বিষয়ক মন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, ‘গ্রেনফেল টাওয়ারের বাসিন্দারা খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। তাদের সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব।’

যারা তাদের বাড়ি হারিয়েছেন আমরা খুব শিগরিরই তাদের জন্য নতুন আবাসনের ব্যবস্থা করবো যেন তারা নতুন করে জীবন শুরু করতে পারেন।

কেনসিংটনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ফ্ল্যাটের দাম ৮৫ লাখ পাউন্ড। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ফ্ল্যাটগুলো বিশেষ কোটা থেকে দেওয়া হচ্ছে। এতে আরও কিছু সুবিধা যুক্ত হবে। ভবনটিতে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তকর্মী থাকবে। সুইমিং পুল, স্পা এবং প্রাইভেট সিনেমার ব্যবস্থাও থাকবে সেখানে। এগুলো অবশ্য অন্যান্য ভবনগুলোতে থাকে না।

ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বার্কলি গ্রæপের চেয়ারম্যান টনি পিজলি বলেন, ‘আমাদের তাদের প্রত্যেকের জন্য বাড়ি খুঁজতে হচ্ছিলো। তাদের বন্ধুদের কাছে, পরিচিতদের কাছে বাড়ি নির্মাণ করাই ছিলো বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এই ফ্ল্যাটগুলো নির্মাণে দিনরাত পরিশ্রম করবো।’

এই ফ্ল্যাটগুলো বিভিন্ন ধরনের। কোনটিতে এক, দুই ও তিন বেডরুমের বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাট রয়েছে। এগুলো লন্ডন কর্পোরেশনের আওতাধীন।

তাদের এক মুখপাত্র জানায়, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সাধ্যমতো করবো। আমরা এরইমধ্যে লন্ডনের সাতটি এলাকায় ৩ হাজার ৭০০টি বাড়ি তৈরি করেছি।’

কাউন্সিলে এই পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এখনও আগুন নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি এক বিবৃতিতে বলেন, সেই ভয়াবহতার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানতে পুলিশ সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি জানি ক্ষতিগ্রস্তরা খুব সহজেই এই ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে পারবে না।

ধারণা করা হচ্ছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত বৃষ্টি প্রতিরোধী ক্ল্যাডিং ব্যবহার করায় আগুন দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud