November 5, 2025
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানার দ্রুতবিচার আইনে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআরও গাফফারুল আলম জানান, এ মামলার পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় দেয়া বিজ্ঞপ্তি সোমবার আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মামলাটি এখন বিচারের জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী সময়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানি হবে।’ সোমবার মওদুদ আহমদ হাইকোর্টে ব্যস্ত থাকায়, মির্জা আব্বাস অসুস্থ ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে থাকায় তাদের পক্ষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মাহমুদ আদনানের আদালতে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রুহুল আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ১৬ এপ্রিল একই বিচারক দাখিল করা অভিযোগপত্রটি আমলে নেন। ওইদিনই এ মামলার ৩৪ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২৪ মার্চ আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়।
এই মামলার আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী এমপি, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন আহমেদ টুকু, আজিজুল বারী হেলাল, শিবির সভাপতি দোলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ ৪১ জন।
আসামিদের বিরুদ্ধে গত ৬ মার্চ বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে গাড়ি ভাঙচুর ও জনমনে সৃষ্টির অভিযোগে ৪৪ জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়। পল্টন থানার এসআই মশিউর রহমান ঘটনাটি তদন্ত করে গত ১৯ মার্চ ৩ জনকে বাদ দিয়ে ৪১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।