May 19, 2024
পাবনা : ২০০৯ সাল থেকে তার এ জীবন যুদ্ধ শুরু। বেঁচে থাকার জন্য কিংবা পেটের তাগিদে নয়, পড়াশুনা করে মানুষের মত মানুষ হওয়ার জন্য। পড়াশুনা শেষ করে ভাল একটা চাকুরী করে গরীব বাবা মায়ের মুখে হাঁসি ফোটাবার জন্যই তার এ জীবন যুদ্ধ। দড়িদ্রকে পরাভূত করে অদম্য আত্মবিশ্বাস বুকে ধারন করে কারও কোন প্রকার সাহায্য ব্যাতিরেকে এগিয়ে চলেছে। অনেক স্বপ্ন তার চোখে মুখে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শ্রমের মর্যাদা টুকু পকেটস্থ করে সেখান থেকে সংসারের ব্যয় বহন করে এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স শেষ করে এবার সে মাষ্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে চলেছে। এই অদম্য যুবকটি হল চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের অমৃতকুন্ডা গ্রামের ভ্যান চালক আলেপ হোসেনের ছেলে। পরিবারে বাবা-মাসহ একমাত্র বড় ভাই মানষিক প্রতিবন্ধী এদের নিয়েই তার সংসার। বাবা ঢাকায় রিক্সা চালান। সেখান থেকে সংসারের ব্যয় বহনের জন্য যে সামান্য খরচ দেন, তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগন্য।
সংসারের বাকী খরচ ও নিজের পড়াশুনা চালিয়ে নেয়ার সকল কিছু তার ভ্যান চালিয়েই করতে হয়। মাসুদ ২০০৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে অ-, ২০০৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অ, ২০১২ সালে অনার্স (দর্শন) পরীক্ষায় ২য় বিভাগ লাভ করে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়। চলতি বছরেই সে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে মাষ্টার্স কোর্সে ভর্তি হবে। শ্রমীকের কাজ করে দরিদ্র মাসুদ পড়াশুনা করার বিষয়ে সে জানায়, আমি দরিদ্র ঘরের সন্তান। আমার বাবার পক্ষে কখনই সম্ভব না সংসারের খরচ বহন করে আমার পড়াশুনার খরচ চালানো। আমার অনেক ইচ্ছা আমি কষ্ট করে হলেও লেখাপড়া শেষ করে ভাল চাকুরী করে দু:খি মা-বাবার মুখে হাঁসি ফোটাতে। ’আমি কারো সাহায্য প্রার্থনা করি না, আমি সকলের দোয়া প্রর্থনা করি’।