November 6, 2025
ঢাকা: বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান ও মো. শাজাহান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের তৃতীয় বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জামিনের এ আদেশ দেন।
গত ১৭ এপ্রিল এ মামলায় জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে আমান উল্লাহ আমানসহ তিন বিএনপি নেতার জামিন প্রশ্নে বিভক্ত আদেশ এবং মো. শাজাহান ও ডা. জাহিদ হোসেনের আবেদন ১০ দিনের জন্য মুলতবি করেন বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেদিন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছয় মাসের জামিন দিলেও অপর বিচারপতি জামিন না দিয়ে রুল জারি করেন।
ফলে আইন অনুসারে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে ওই জামিন আবেদনের শুনানি নেওয়া হয়।
আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরীসহ অন্যরা।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, ১৭ এপ্রিলের আদেশে আদালত বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক ও যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর জামিন প্রশ্নেও বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলেন। জয়নুল আবেদীন ফারুক পরে জামিনে মুক্ত হলেও রিজভী এখনো আটক রয়েছেন।
একই দিন গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা দ্রুত বিচার আইনের অন্য একটি মামলায় বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, আমান উল্লাহ আমান ও মো. শাজাহান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এম জাহিদ হোসেনকে জামিন দেন।
এছাড়া একই দিনে দু’টি মামলায়ই ছয় মাসের জামিন পেয়ে মুক্ত হন জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
গত ১৪ এপ্রিল বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ওই ৬ নেতা হাইকোর্টে এ জামিনের আবেদন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে ১২ মার্চ ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় দু’টি মামলা দায়ের করেন। এ দুটি মামলায় বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ১৫১ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। আসামিদের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়। বিস্ফোরক ও দ্রুত বিচার আইনে দায়েরকৃত এ দুই মামলায় নেতাকর্মীরা মূখ্য মহানগর হাকিম ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ওই দুটি আদালত তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
পরে ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করেন ছয় নেতা।