পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত

Posted on June 7, 2013 | in জাতীয় | by

Sheikh+Hasina+Wajed+Bangladeshi+Prime+Minister+MMT

ঢাকা: নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় জানিয়েছেন।  ২৫ অক্টোবরের পর নবম সংসদের আর কোনো অধিবেশন বসবে না বলেও প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে কয়েকজন সংসদ সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২৫ অক্টোবর এই সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। এর পর অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। বিশ্বের সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই হবে।

উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি নবম সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে। সে অনুযায়ী আগামী ২৫ জানুয়ারি সংসদের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে।

এদিকে সভার সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার ছেলে তারেক রহমান ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি ও আইভি রহমানের হত্যাকারী। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় সে রেহাই পাবে না। এই বিষয়টি দলের নেতাদের বক্তব্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কৃষক হত্যা করেছে, শ্রমিক হত্যা করেছে। এইসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত বলেও সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন।

সূত্র আরো জানায়, সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে দলের এমপিদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বাজেট বক্তৃতায় এমপিদের নিজ নিজ এলাকায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে সেসব তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন।

এমপিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। কোথাও কোনো  সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। তৃণমূলের ভোটের ওপর ভিত্তি করেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তৃণমূলকর্মীদের সমর্থন না থাকলে কাউকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

জাতীয় সংসদের নবম তলায় সরকারি দলের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আমির হোসেন আমু, আতিউর রহমান আতিক, আব্দুল্লাহ আল জ্যাকব, কাজী কেরামত আলী প্রমুখ।

সূত্র জানায়, আমির হোসেন আমু সভায় টিআর ও কাবিখার অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মাহমুদ আলীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন।

আমির হোসেন আমু সভায় বলেছেন, নীতিমালা ভঙ্গ করে ত্রাণমন্ত্রী টিআর কাবিখার সরকারি বরাদ্দ দিচ্ছেন। এতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ সময় অনেক এমপি আমির হোসেন আমুর বক্তব্য সমর্থন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করলে সবাই শান্ত হন।

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud