পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

প্রযুক্তি মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি করছে: প্রধানমন্ত্রী

Posted on December 19, 2015 | in জাতীয় | by

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমান বহুকেন্দ্রিক বিশ্বে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি পারস্পরিক সংযোগ দৃঢ় করার পাশাপাশি মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।19-12-15-PM-2
প্রযুক্তি ব্যবহার করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও সক্ষম করে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও এএফডি কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে আমরা একটি সর্বজনীন ও বহুকেন্দ্রিক বিশ্বে বসবাস করছি। যেখানে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি পারস্পরিক সংযোগকে সুদৃঢ় করছে, উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের পথ দেখাচ্ছে, আবার মাঝে-মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশও তৈরি করছে।

“বিশেষ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নানা ধরনের ঘটনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। আমি আশা করি, এই প্রশিক্ষণ আপনারা কাজে লাগাবেন, স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগবেন,যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপনারা অনেক বেশি সক্ষম হবেন।”

বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জঙ্গিদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে। এজন্য সম্প্রতি ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক কয়েকটি যোগাযোগ মাধ্যম সম্প্রতি কিছু দিনের জন্য বন্ধও রাখে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা আজ যে একটি উন্নততর ও পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিশ্বে বসবাস করছি, সেই বিশ্বও বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত কারণে সুরক্ষিত নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর উপর উন্নত বিশ্বের অনেক নিয়ম-নীতি প্রভাব ফেলে। যার ফলে উন্নত দেশের অনেক অভিঘাতের প্রতিই তারা থাকে সংবেদনশীল।

“এই পরিস্থিতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিকে বহুমুখী ও শক্তিশালী করার জন্য নিজেদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা প্রয়োজন।”

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী নিরাপত্তাজনিত অনেক সমস্যার সমাধানে সরকারের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন তিনি।

প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে রাজনীতি, অর্থনীতি ও গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

“১৯৯৬ সালের পূর্বে সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ ও মধ্যপর্যায়ের কর্মকর্তাদের উচ্চমানের প্রশিক্ষণের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। আপনাদের উচ্চশিক্ষার কথা বিবেচনা করে আমাদের পূর্ববর্তী মেয়াদকালে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি এনডিসি, যা বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জনগণের পাশে থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এই অংশীদারিত্ব সময়ের পরিক্রমায় আরও শক্তি সঞ্চয় করবে। আমি বিশ্বাস করি, সশস্ত্র বাহিনী তার উদ্যোগ, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখে চলবে।”

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান রাষ্ট্রের কৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংহতি উন্নয়নে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার গুরুত্বও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

“সফলতার পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ থেকেই যায়। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে আপনারা এই চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় অনেক বেশি প্রস্তুত।”

তিনি জানান, একটি ‘স্ট্রাটেজিক ইনস্টিটিউশন’ হিসেবে এনডিসিকে গড়ে তোলার পাশাপাশি কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যেই ১৩২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এছাড়া ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে বেসামরিক প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক উন্নয়নে এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
অনুষ্ঠানে তিন বাহিনী প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud