পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

নোয়াখালী যাওয়ার ইচ্ছা মোদির

Posted on June 8, 2015 | in জাতীয় | by

Gandhi-225x300স্টাফ রিপোর্টার : বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় নোয়াখালী যাওয়ার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইসঙ্গে পরবর্তীতে বাংলাদেশ সফরে আসলে অবশ্যই নোয়াখালীতে যাবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
রোববার বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকা জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে রওশন এরশাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির নেতা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম ও সেলিম উদ্দিন।

বৈঠক শেষে কাজী ফিরোজ রশীদ জানান, বৈঠকে মোদি বলেন- ‘বাংলাদেশ সফর আমার খুব ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আসলে নোয়াখালী যাব।’ শুনে রওশন এরশাদ তখন বলেন, ‘নোয়াখালী?’ জবাবে মোদি বলেন, ‘নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমে যাব।’
বৈঠক শেষে রওশন এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সীমান্ত সমস্যা অনেক দিন ধরে ছিল, সেটা সমাধান হয়েছে। এখন তিস্তা নিয়ে কথা হয়েছে। এ ছাড়াও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।’

প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলা বৈঠকে দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয় বলে জানান রওশন। তিনি জানান, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাঁদের আশ্বস্ত করে মোদি বলেছেন, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। দুই দেশ এক সঙ্গে বসে আলোচনা করলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
Gandhi-21গত ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে রওশন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।’ ভারতের ভিসা পাওয়া নিয়ে জটিলতাগুলো শিগগিরি সমাধান করা হবে বলেও নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেন বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মোদিকে পায়জামা, পাঞ্জাবি, কটি ও একটি কোট পিন উপহার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের জন্য একটি শাড়িও উপহার দেওয়া হয়েছে বলে জাপা সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে জাতিগত সংঘাত রায়টের পর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা ভ্রমণ করেন এরং বর্তমান সোনাইমুড়ি পৌরসভার জয়াগ নামে স্থানে তিনি পরিদর্শনের জন্য গেলে
সেখানকার তত্কালীন জমিদার ব্যরিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ তার সব সম্পত্তি গান্ধীজির আদর্শ প্রচার এবং গান্ধীর স্মৃতি সংরক্ষণের একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে জন্য দান করেন এবং গান্ধীজির নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ট্রাস্টটি প্রথমে আম্বিকা কালিগঙ্গা চ্যেরিটেবল ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধন কৃত হলেও ১৯৭৫ সালে এটি নাম পরিবর্তিত হয়ে গান্ধি আশ্রম ট্রাস্ট রাখা হয়। গান্ধি আশ্রমে গান্ধীর নামে একটি জাদুঘরও আছে।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud