November 6, 2025
ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, “হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যোগ দেয়া নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার জন্য আজ না হয় পরশু জবাব দিতে হবে।”
এছাড়া শাপলা চত্বরের ঘটনার সত্য উদঘাটন, দুটি টিভি চ্যানেল কেন বন্ধ করা হলো এবং বাতি বন্ধ করে কেন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, তিন দিনের মধ্যে তা বের করতে সাবেক দুই-তিনজন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিশন গঠন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যা্লয়ের সামনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮দল আয়োজিত মতিঝিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হেফাজতকর্মীদের স্মরণে এক গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
বি চৌধুরী বলেন, “রোববার রাতে বাতি বন্ধ করে সাঁড়াশি আক্রমণ করে নির্বিচারে গুলি করে হেফাজতের সমাবেশে যোগ দেয়া নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।৭১সালে এমন হত্যাকাণ্ড হলেও তারা ছিল হত্যাকারী, আমাদের বিরোধী শক্তি।”
তিনি বলেন, “সমাবেশে যোগ দেয়া মানুষের কারো কাছে কোনো অস্ত্র, বোমা ও বন্দুক দেখা যায়নি।আর যারা মারা গেছে তারা হেফাজতের নেতাকর্মী নয়, এরা সাধারণ মানুষ।”
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, “কোনো মুসলমান পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়াতে পারে না।কে ছিল এই ষড়যন্ত্রকারী, সরকারকে তা বলতে হবে।এটাও বিচার বিভাগীয় তদন্তের অংশ হতে হবে।”
‘সাংবাদিকদের মুখে তালাচাবি মেরে দেয়া হয়েছে’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যারা এ হত্যা করেছে জাতি তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।বর্তমান সরকার এদেশের, তারা পাকিস্তানের নয়।সরকারের মধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে। আশা করি তারা কোনো ভুল করলেও ক্ষমা চাইবে।”
জানাজায় অংশ নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকী পুলিশের গুলিতে হেফাজতকর্মীদের হত্যার প্রসঙ্গে বলেন, “আমি এমন নির্মম হত্যা আর দেখিনি।বিনা প্রতিবাদে ও বিচারে এটা মেনে নেয়া হবে না।”
তিনি বলেন, “যারা সরকারে থাকে তারা মানবীয় থাকে না, তারা দানবীয় হয়ে যায়।তাই যারা আগামী দিনে ক্ষমতায় আসবে তারা যেন এর বিচার করে।