October 16, 2025
ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় ঢাকা সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল মালেককে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন খালাস পেয়েছেন। বুধবার দুপুরে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ জহুরুল হক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি আব্দুল মালেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের অতিরিক্ত আরও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের রায় প্রদান করা হয়।
১৯৭৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের মে পর্যন্ত জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তিন কোটি এক লাখ টাকার এফডিআর ও ঢাকার গুলশান ও ধানমণ্ডিতে ৫টি ফ্ল্যাট ও পল্লবীতে একটি ৫তলা বাড়ি অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে ২০০৬ সালের ৫ জুন ধানমণ্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আব্দুল মালেক ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি সহকারী প্রকৌশলী পদে সড়ক ও জনপথ বিভাগে যোগদান করেন। কর্মরত থাকাকালে আব্দুল মালেক নিজ নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ৩ কোটি ১ লাখ টাকা এফডিআর করেন। তার ও তার স্ত্রীর নামে ৪০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করেন।
এছাড়াও কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি ঢাকার পল্লবীতে ‘সূর্যমুখী’ নামে একটি পাঁচতলা বাড়ি এবং গুলশান ও ধানমণ্ডিতে পাঁচটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চাকরি জীবনে মালেক যে বেতন ও ভাতাদি পেয়েছেন তা দিয়ে চার সদস্যের পরিবারের সাংসারিক ব্যয় নির্বাহ করাই যেখানে দুরূহ সেখানে এ বিপুল পরিমাণ টাকার সম্পদ করার মতো তার কোনো বৈধ আয়ের উৎস ছিল না।
দুদকের অনুসন্ধানে আব্দুল মালেকের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ১৫ জুন আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।