November 5, 2025
ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইন-আদালতের চোখে পলাতক আছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেছেন, আদালতের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।
রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তার (তারেক রহমানের) বিরুদ্ধে মামলা আছে। আইনানুগভাবে আদালত মামলা পরিচালনা করছে। কিন্তু তিনি আইন-আদালতের চোখে পলাতক হিসেবে আছেন।”
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, “তারেক রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে চিকিৎসার জন্য বাইরে ছিলেন। কিন্তু এখন অনুমোদন ব্যতিরেকেই চিকিৎসার নামে বিদেশে পলাতক অবস্থায় আছেন। যে কোনো মুহূর্তে তিনি নিজে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করতে পারেন। তা যদি না হয় তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের মুখোমুখি করা যেতে পারে। আদালত যদি মনে করেন তার অনুপস্থিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন, তাহলে আদালত সে সিদ্ধান্ত নেবেন।”
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তিনি (তারেক রহমান) অসুস্থতার কথা বললেও আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দেখছি, তিনি বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করে বেড়াচ্ছেন এবং দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য তার কর্মী ও শরিক দল জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের ওপর হুকুম জারি করেছেন। তাকে আদালতের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে।”
রোববার ১৮ দলের হরতালের প্রসঙ্গে টুকু বলেন, “আগামী ৩ জুন সংসদ অধিবেশন বসবে। বিভিন্ন পর্বে আলাপ-আলোচনার কথা উঠেছে। তারা এক দিকে সংলাপ, অন্যদিকে হরতাল আহ্বান করেছে। হরতাল ডেকে তারা ঘরে বসে আরাম করছে। আর দেশব্যাপী জনগণ এ হরতাল প্রত্যাখান করেছে।”
হরতালকে তিনি ‘অনৈতিক ও অযৌক্তিক’ উল্লেখ করে হরতাল পরিহার করে সংসদে এসে আগামী নির্বাচন যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে লক্ষে প্রস্তাব উত্থাপন করে আলোচনায় অংশ নিতে আহ্বান জানান।
সভা-সমাবেশ সব কিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে জানিয়ে শামসুল হক টুকু বলেন, “তারা হরতালও দিয়েছে, হরতালের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। যদি তারা গাড়ি ভাংচুর করে, পথচারী ও গাড়ি চালকদের আক্রমণ করে, দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করে, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা হতে দেবে না।