November 6, 2025
ঢাকা: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৩ এ আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ড. মোজাম্মেল হকের কাছে এ আবেদন করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। অভিযোগে বলা হয়, ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে তার বন্ধু মামুনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পথে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করেন তারেক রহমান। মানি লন্ডারিংয়ের এ মামলায় তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতে হাজিরের আদেশ চাওয়া হয়।
আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আবেদনে বলেন, ‘আমরা জানতাম, তিনি (তারেক) বিদেশে চিকিৎধীন। কিন্তু গণমাধ্যমের খবর সূত্রে তার লন্ডনে অবস্থানের বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। এ কারণে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।’ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমানকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ‘চিকিৎসার জন্য’ লন্ডনে যান।
পরোয়ানা জারির পর নিয়ম মাফিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও ঢাকার আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকে পলাতক দেখিয়ে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন বিচারক। সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির এক দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন তারেক। গত ২০ মে পূর্ব লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ওপর চাপ দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক।
এরপরই দেশে ও বিদেশে তার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদরা।
এর আগে গত শুক্রবার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।