November 6, 2025
সাভার: সাভারের ধসে যাওয়া রানা প্লাজায় জীবিত কাউকে পাওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “যতো নিচের তলার দিকে যাচ্ছি ততো লাশের সংখ্যা বাড়ছে। শেষ লাশটি উদ্ধার না করে আমরা উদ্ধার কাজ বন্ধ করবো না। বিজিএমইএ-এর কাছে শ্রমিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ মের মধ্যে মালিকরা শ্রমিকদের বেতন দেবেন। সেই সময় হিসেবে দু’এক দিনের মধ্যে তালিকা পেয়ে যাবো। তখন জানা যাবে কতোগুলো লাশ পাওয়া যেতে পারে’’।
তিনি আরো বলেন, “লাশ উদ্ধারের প্রয়োজনে রানা প্লাজার ধ্বংসাবশেষ এখান থেকে সরিয়ে ফেলবো। যদিও আমরা ভবন সরাতে এখানে আসিনি। জীবিতদের এবং মৃতদেহ উদ্ধার করতে এসেছি।”
“উদ্ধার তৎপরতা দ্রুত গতিতে চলছে। লাশগুলো সম্মানের সঙ্গে উদ্ধার করার জন্য কিছু সময় নিতে হচ্ছে।”
এদিকে, মধ্যরাতেও রানা প্লাজার পেছনের অংশে বেশ কয়েকটি লাশ ধ্বংস্তুপের সঙ্গে ঝুলতে দেখা গেছে। ভারি যন্ত্রপাতি ও ক্রেন ব্যবহার করে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে।
২৪ এপ্রিল (বুধবার) সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামে নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ধসে পড়ে। এতে বৃহস্পতিবার দিনগত শেষরাত পর্যন্ত ৪৫৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিককে।
সাভারের যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন এই ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, প্রসাধন সামগ্রী ও পোশাকের দোকানের পাশাপাশি তিনতলা থেকে আটতলা পর্যন্ত ছিলো তৈরি পোশক কারখানা। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কারখানায় কাজ করতেন কয়েক হাজার শ্রমিক।