পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

চাঁদাবাজির নতুন কৌশলে!

Posted on September 14, 2014 | in জাতীয় | by

article-2467413-18D7CA1600000578-515_634x326ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীতে এবার নতুন কৌশলে চাঁদাবাজি চলছে। কাউকে ভয় দেখিয়ে নয়, সোজা পায়ে পাড়া দিয়ে টাকা নিচ্ছে এক শ্রেণির বখাটেরা। আর তাদের এই অভিনব কৌশলের কাছে হার মেনে যেকোনো ধরনের ঝুট-ঝামেলা এড়াতে চাঁদা দিয়ে কোনো রকমে স্থান ত্যাগ করছেন অসহায় সাধারণ মানুষ। দিনদুপুরেই ঘটছে এসব চাঁদাবাজির ঘটনা। শত শত মানুষের সামনে ঘটনা ঘটলেও কেউ মুখ ফুটে কিছু বলার সাহস রাখে না। কারণ, তারা নাকি স্থানীয় ক্যাডার। তাই সবাই বোবা পাখির মতো নীরব ভূমিকা পালন করেন। রোববার বেলা সাড়ে ১১টা। মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে রাস্তার ওপারে মোড়ের ঘটনা। পরীক্ষা শেষে শিশুকে নিয়ে একজন মা নিজের প্রাইভেটকারে করে বাসায় ফিরছিলেন। হঠাৎ দুজন ছেলে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে প্রাইভেটকারটিতে এসে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলো। ভেঙ্গে গেলো প্রাইভেটকারের সামনের বাম্পার। ছুটে গেলো ক্রাচ। এ সময় মাটি থেকে উঠেই ওই দুই ছেলে মারধর করতে শুরু করলো প্রাইভেটকারের চালককে। ভেতরে থাকা মা ও শিশুকেও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখানো হলো। অসহায় হয়ে চুপচাপ থাকলেন ভুক্তভোগী ওই মা ও শিশু। আশেপাশে সবাই ফিস ফিস করে বলতেছিলো ‘দোষ করলো নিজেরা। অথচ পেটাচ্ছে প্রাইভেটকারের চালককে।’ কিন্তু এ কথাটা উচু গলায় কেউ বলার সাহস পেলো না। এটা নাকি এই এলাকার নিত্যদিনের চিত্র। এখানেই শেষ নয়। ওই দুই ছেলে কোথায় যেন একটা ফোন করলো। এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যেই কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হলো আরো ১০/১২ জন ক্যাডার। তারা এসে চরম হট্টোগোল শুরু করে দিলো। গাড়িতে থাকা মা ও শিশুকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখালো। এক পর্যায়ে ওদের মধ্য একজন বলে উঠলো ২ হাজার টাকা দিয়ে চলে যান। টাকা না দিলে যেতে পারবেন না। কি আর করার অগত্যা টাকা দিলেন ভদ্র মহিলা। আর ওই টাকা নিয়ে ওরা মজা করে সবাই এক সঙ্গে বাইক চালিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো। আর অসহায় হয়ে শুধু তাকিয়ে থাকলেন ভুক্তভোগী প্রাইভেটকারে থাকা ওই নারী। আশেপাশের মানুষজনও শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, তারা ছিলো বাংলা কলেজের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। স্থানীয়রা তাদেরকে বাংলা কলেজের ক্যাডার হিসেবেই চেনে। সে কারণেই ভয়ে তাদের সামনে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। তারা প্রায়ই বিভিন্ন প্রাইভেটকারকে টার্গেট করে এ ধরনের চাঁদাবাজি করে থাকে। আর প্রাইভেটকারের মালিকরা অল্প কিছু টাকার জন্য তেমন ঝামেলায় না জড়িয়ে টাকা দিয়ে চলে যান। কথা হয় অভিনব চাঁদাবাজির শিকার প্রাইভেটকারের ওই নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘টাকা দেওয়ার পর দেখলাম ওরা খুশি মনে চলে গেলো। আমি তাকিয়ে দেখি আমার গাড়ির বাম্পার ছুটে গেছে। ক্রাচ পড়ে গেছে। ক্ষতি হলো আমার। অথচ জরিমানাও গুনতে হলো আমাকে।’ এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা কোন জগতে বাস করছি, জানি না। স্বাাধীন দেশে থেকেও আজও যেনো আমরা পরাধীন। ওরা করলো অন্যায়- আমরা দিলাম প্রশ্রয়। তবে অনিয়মই কি সব নিয়ম হয়ে যাচ্ছে? ওই নারী আরো বলেন, ওরা চলে যাওয়ার পর শুনলাম ওরা নাকি বাংলা কলেজের ছাত্রলীগের ক্যাডার। এটা নাকি ওদের চাঁদাবাজির অভিনব সিস্টেম।’ এসময় তিনি কাছে আবারো আক্ষেপ করে বলেন, অভিভাবকরা তবে এতো কষ্টো করে বাচ্চাদের পড়াচ্ছে কেনৃ??? টাকা উপার্জনের যদি এতো সহজ উপায় থাকেৃ?

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud