পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামে বিলাসবহুল গাড়ি!

Posted on June 9, 2013 | in ব্যবসা-অর্থনীতি | by

images

চট্টগ্রাম:  অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা শত কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি হতে যাচ্ছে। পর্যটন সুবিধা নিয়ে আনা এসব কার্নেট গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে বন্দরের বিভিন্ন শেডে। বিগত ২০০৯-১০ অর্থ বছরে সরকারের ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এধরণের ১১৯টি গাড়ি লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় এ নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্যায়ে ১০ জুন ১২টি গাড়ি বিক্রি করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক পর্যটন আইন অনুযায়ী, যে কোনো পর্যটক ভিন্ন কোনো দেশ থেকে গাড়ি এনে বিনা শুল্কে যে কোনো দেশে গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এর মেয়াদ কাল হবে তিন মাস। নির্ধারিত সময়ের পর সে গাড়ি পুনরায় ফিরিয়ে নিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে এ আইনের আওতায় গাড়ি আসলেও তার অপব্যবহার হয়েছে মারাত্নকভাবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ, যুগ্ম কমিশনার, শেখ মাহমুদুল হাসান বলেন, যে সব গাড়ি রয়েছে তার মধ্যে বিএমডাবলিউ, মার্সিডিজ বেঞ্চ, পোরস , ওডি যে গুলো উচ্চশুল্ক হার যুক্ত। এখানে যে ১১৯ টি গাড়ি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে তার খরচ প্রায় ২৫০ কোটি থেকে ৩০০ কোটি টাকার সমপরিমান।

এদিকে এক বছরে ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ১১৯টি গাড়ি লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার ঘটনা তদন্তের দাবি জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স, সভাপতি, মাহবুবুল আলম বলেন, বিআরটিএ কিভাবে এইসব গাড়ি গুলো ফাইল করে রাস্তায় নামার ব্যবস্থা করে দিয়েছে এসব বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ, যুগ্ম কমিশনার, শেখ মাহমুদুল হাসান বলেন, এ অবস্থায় এধরণের জালিয়াতি ঠেকাতে বন্দরে শেডে পড়ে থাকা দামি গাড়িগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে এবং সাভাবিক ভাবে বন্দরের আগের মতো কার্যক্রম শুরু করা হবে।

নিলামের প্রথম পর্যায়ে ৪টি বিএমডব্লিউ কার ও জীপ এবং ১টি মার্সিডিজ বেঞ্চ কারসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের আরো সাতটি গাড়ি বিক্রি করা হবে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন শেডে এধরণের আরো ৮০টি গাড়ি রয়েছে।

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud