November 5, 2025
সাভার (ঢাকা): সাভারে ধসেপড়া রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার মা মর্জিনা বেগম (৬২) গ্রেপ্তার এড়াতে মৃত্যু নাটক সাজান বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রেপ্তার আতঙ্ক ছাড়াও সম্পদের হিসাবসহ বিভিন্ন কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন- এমন গুজব ছড়ায় রানার পরিবার। ভবন ধসের পর রানার মার মৃত্যুর খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র রানার মার বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এখন ধামরাইয়ে তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপনে আছেন বলে জানায় এ সূত্র। ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৯ তলা বিশিষ্ট রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে ৫টি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক আটকা পড়ে। এরমধ্যে ১ হাজার ১২৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ভবন ধসের আগে শ্রমিকদের জোরপূর্বক কারখানায় কাজে যোগ দেয়ায় বাধ্য করা ও বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভবন নির্মাণ করায় রানাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায় প্রশাসন। রানাকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় রানার বাবা, ফুফা, বোন ও চাচাতো ভাইসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয়কে আটক করে পুলিশ।
অবশ্য পরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে বেনাপোল থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রানার মা মর্জিনা বেগম গ্রেপ্তার এড়াতে মৃত্যু নাটক করেন বলে জানায় বিশ্বস্ত সূত্রটি। এছাড়া, রানার অবৈধ সম্পদের খোজে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম মাঠে নামে। গ্রেপ্তার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের হাত থেকে বাঁচাও এ নাটকের উদ্দেশ্য ছিলো।
মর্জিনা বেগমের মৃত্যুর পর তাকে ধামরাইয়ের শুয়াপুর এলাকায় রানার নানার বাড়িতে কবর দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে কবর দেয়া হয়নি। রানার বাবার বাড়ি সিংঙ্গাইরের জয়মন্টপ এলাকায়ও কবর না দেয়ায় মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। পরে একটি বিশ্বস্ত সূত্র রানার মার মৃত্যুর নাটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রানার মার মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। তবে তাকে কোথায় কবর দেয়া হয়েছে তা জানি না।
প্রশাসনের একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেও রানার মাকে কোথায় কবর দেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।