পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

ঈদ বাজার: জমে উঠেছে শেষ সময়ের কেনাকাটা

Posted on June 23, 2017 | in ব্যবসা-অর্থনীতি | by

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমলের গেটে আসলে বোঝা কঠিন যে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছেন অনেক মানুষ! প্রবল ভিড় ঠেলে ভেতরে ঢুকেও মানুষের ভিড়ে হারিয়ে যেতে হবে আপনাকে। একই দৃশ্য চোখে পড়লো নিউমার্কেট, গাউসিয়া, চাঁদনীসহ সব মার্কেটেই। ঈদের শেষ সময়ের কেনাকাটার জন্য মানুষ ভিড় করছেন মার্কেটগুলোতে।

বাসাবো থেকে ৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে নাজমা খানম এসেছিলেন গাউসিয়া মার্কেটে। জানালেন মেয়ের জামা কিনেছেন আগেই। এখন চুলের ব্যান্ড ও চুড়ির মতো ছোটখাট কেনাকাটাগুলো সারতে এসেছেন। একই কথা জানালেন মিরপুরের বাসিন্দা হোসনে আরা। তবে ভিড়ের জন্য পছন্দের জিনিস খুঁজতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন। জামার সঙ্গে মিলিয়ে কানের দুল ও গলার সেট কিনছিলেন বীথি। জানালেন, গাউসিয়ার এখানে অনেক ধরনের গয়না থাকে। ফলে পছন্দ করে কেনা সহজ। তবে ভিড় অনেক বেশি। সালোয়ার কামিজের খোঁজে নিউমার্কেটের দোকান ঘুরছিলেন দুই বোন সুমি ও তানিয়া। ‘শেষ সময়ে আসলে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যায়। এজন্যই প্রতি বছর রোজার শেষের দিকে কেনাকাটা করি’- বলেন তানিয়া।

কম দামে বিক্রি করার বিষয়টি স্বীকার করলেন গাউসিয়ার তৈরি পোশাক বিক্রেতা আবদুল্লাহ। ‘ঈদের আগে আগে সবাই ক্রেতা না ফেরানোর চেষ্টা করে। একটু কম দামে হলেও বিক্রি করে দেয়। অনেকে আবার স্টক ক্লিয়ার করতে ডিসকাউন্টও দেয়’- বললেন তিনি। হকার্স মার্কেটের শাড়ি বিক্রেতা নাজমুল করিম জানালেন, চাঁদরাতে কেনা দামেও বিক্রি করা হয় শাড়ি।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের আড়ংয়ে ঘর সাজানোর পণ্য কিনছিলেন গুলশানের বাসিন্দা তানজিলা। তিনি জানালেন কেনাকাটা বেশিরভাগই শেষ। এখন কেবল শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি প্রস্তুতি। ‘শেষ কয়েকদিন মার্কেট ঘুরে কাটাতে বেশ ভালোই লাগে’এমন কথা জানান ধানমন্ডির জেনেটিক প্লাজায় আসা মিম। এত ভিড়ে ঠিকমতো কেনাকাটা করা যায়? ‘ভিড় মানেই উৎসবের আনন্দ। সবাই কিনছে, ঘুরছে। এই উৎসবের আমেজটা যেমন ভালো লাগে, তেমনি ঘোরাঘুরি করতে করতে চোখে পড়ে যায় প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই যেটা কিনা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম কিনতে’ বলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। জেনেটিক প্লাজা ও সীমান্ত স্কয়ার মার্কেটে চাঁদরাতে মেহেদি উৎসব চলে। এইসব উৎসব ঘুরে মেহেদি লাগাতেও পছন্দ করেন তিনি।

গাউসিয়া মার্কেটের সামনে চুলের ব্যান্ড বিক্রি করছিলেন হকার চান মিয়া। তিনি জানালেন শেষ দুইদিন ধরেই বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। বাকি দিনগুলোতেও এমন বিক্রির প্রত্যাশাই করছেন। সীমান্ত স্কয়ারে কেনাকাটা করছিলেন আলতাফ চৌধুরী। তিনি জানান, অফিসের কারণে কেনাকাটার সময় পাননি। ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর তাই এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে। পরিবারের সবার জন্যই উপহার কিনবেন আগামীকাল পর্যন্ত।

বসুন্ধরা সিটির তৈরি পোশাক বিক্রেতা শমসের বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। জানালেন, পুরো রমজানে যে ব্যবসা হয়, তার অর্ধেকই হয় সাতাশ রোজার পরে। এ সময় মানুষ কাপড় দেখতে নয়, কিনতে আসেন। ফলে রোজার শেষ সময়টা ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud