পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

Posted on February 20, 2014 | in জাতীয় | by

g0fHtঢাকা: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ২১  ফেব্রুয়ারি, বাংলা ১৩৫৯ সনের ৮ ফাল্গুন তারিখে মায়ের ভাষা বাংলা রক্ষা করতে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, বরকত, সালাম, জব্বারসহ নাম-না-জানা অনেক ছাত্র-জনতা। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পেয়েছে ‘মা’ বলে ডাকার অধিকার। পৃথিবীর আর কোনো জাতি এভাবে তাদের ভাষার জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়নি। মায়ের ভাষায় কথা বলার এই মহান ত্যাগের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা।

১২টা ১ মিনিটে ২১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সূচনা হয়। রাষ্ট্রপতি  অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ প্রথম ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে  শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উদযাপন।  বাঙালির ৬২তম মাতৃভাষা দিবস এটি।

এরপর একে একে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, মন্ত্রিপরিষদ বর্গের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ভাষার অধিকার পাওয়ার সে দিনটি ছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। কোনো জাতিকে দমাতে হলে তার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে হবে- পাকিস্তানি শাসকদের এই আগ্রাসী চিন্তার বিরুদ্ধে সরব থেকে সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করেছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলা, মেডিকেল কলেজের সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে গিয়ে পাকিস্তানি হায়েনার গুলিতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, বরকত, সালাম, জব্বারসহ নাম-না-জানা আরো অনেক শহীদ।  বাংলা বর্ণমালা ফুটেছিল তাদের বুকের তাজা রক্তে।

ভোরের আলো ফোটার আগেই বর্ণমালা অ – আ- ক – খ আলপনা জেগে উঠবে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে। পুষ্পে পুষ্পে শোভিত হবে শহীদ বেদি। নগ্ন পায়ে বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় লাখো-কোটি জনতা স্মরণ করবে ভাষাশহীদদের। ব্যাকুল কণ্ঠে ধ্বনিত হবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’

বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ঘটেছিল, মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। দুর্জয় সাহস জুগিয়েছে। ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- চিরকালের এ স্লোগান আজও সমহিমায় ভাস্বর। একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, যাবতীয় গোঁড়ামি আর সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার।

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud