April 18, 2024
নিউজ ডেস্ক: মাত্র এক সেকেন্ডেই পানি বিশুদ্ধকরণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য পলিমার আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এয়ার ফ্রেশনার ও সাইক্লোডেক্সট্রিন ব্যবহার করে মাত্র এক সেকেন্ডেই পানি শুদ্ধকরণের প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণওয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী প্রফেসর ইউল ডিচটেলের নেতৃত্বে আবিষ্কৃত সাইক্লোডেক্সট্রিনযুক্ত কার্বনের পলিমার ২০০-এর অধিক বার ব্যবহার করা যাবে। ওই কার্বন পানিতে ভাসমান জীবানু নিমিষেই শোষণ করে নেবে। এটা ব্যবহারে খুবই সহজবোধ্য ও দামে সস্তা। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: যৌনজীবনে উদ্দীপনা আনতে ভায়াগ্রায় সাহায্য নেন অনেকেই। বর্তমান জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে যৌনজীবনে শিথিলতা আসছে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি থাকে এণন কিছু খাবার যার মধ্যে রয়েছে জিনসিনোসাইড তবে আপনার ফিরে আসতে পারে যৌনজীবনের উদ্দীপনা।
জেনে নিন আপনি ৫টি খাবারের কথা-
হিং : ডা. এইচ কে বাকরু তার ‘হার্বস দ্যাট হিল : ন্যাচরাল রেমেডিস ফর গুড হেলথ’ বইতে লিখেছেন, যদি টানা ৪০ দিন ধরে রোজ ০.০৬ গ্রাম হিং খাওয়া যায় তাহলে পেতে পারেন সুস্থ যৌনজীবন।
রান্নায় মেশাতে পারেন হিং। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস জলে এক চিমটি হিং ফেলে খেলেও পাবেন উপকারিতা।
ডাঁটা : আমেরিকান জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্স জানাচ্ছে পুরুষদের লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা বা উদ্দীপনার ঘাটতিতে খুব ভাল কাজ করে সজনে ডাঁটা। প্রতিদিনের ডায়েট রাখতে পারেন সজনে ডাঁটা। অথবা ১ গ্লাস দুধে সজনে ফুল, নুন ও গোলমরিচ মিশিয়ে প্রতিদিন খেলেও উপকার পাবেন।
জিরা : জিরার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম ও জিঙ্ক যৌনাঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে বাড়ে যৌন উদ্দীপনা। জানাচ্ছে জার্নাল অফ দ্য সায়েন্স অফ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার। প্রতিদিন ১ কাপ গরম চায়ে জিরা ফেলে খান।
আদা : বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদার উপতারিতার কথা আমাদের সকলেরই জানা। সুস্থ যৌনজীবন বজায় রাখতেও অপরিহার্য্য হতে পারে আদা। আদার মধ্যে থাকা ভোলাটাইল অয়েল স্নায়ুর উত্তেজনা বাড়ায় ও রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে। প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিমের সঙ্গে আদার রস ও মধু খেতে পারেন।
রসুন : আফ্রিকান হেলথ সায়েন্সস জানাচ্ছে আদার মতোই উপকারী রসুন। রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রসুন। ফলে প্রতিদিনের ডায়েটে যদি রসুন থাকে তবে কমতে পারে লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা।
সূত্র: কলকাতা
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শরীরের পক্ষে সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ভীষণ জরুরি। তাই খাবার খাওয়ার সময় কোন ধরণে খাবার আপনি খাচ্ছেন কিংবা কি অবস্থায় আপনি সেই খাবার খাচ্ছেন সে বিষয়ে নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরী। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কিছু খাবার রয়েছে যা খালি পেটে খাওয়া একদম ঠিক নয়। এই খাবারগুলো এসিড তৈরি করে এবং অন্ত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এ খাবারগুলোর কথা।
১। দই
দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান স্বাস্থ্যকর। তবে যদি এটা খালি পেটে খাওয়া হয় তবে স্বাস্ব্যকর নয়। দইয়ে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলির আবরণের রসের সাথে মিশে পেটকে খারাপ করতে পারে।
২। কলা
খালি পেটে কলা খাওয়া হঠাৎ করে শরীরে ম্যাগনেসিয়াম বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের ভারস্যাম্য নষ্ট করে। তাই কলা খালি পেটে না খাওয়ার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।
৩। মিষ্টি আলু
আপনি কি জানেন মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে ট্যানিন এবং পেকটিন? এটা বেশি পরিমাণে এসিড নিঃসরণ করে পাকস্থলির দেয়ালকে সংকুচিত করে। এর ফলে বুক জ্বালাপোড়া হয়।
৪। সোডা
সোডার মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ কাবোর্নেটেট এসিড। খালি পেটে সোডা খাওয়া হলে এই এসিড স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরি করে এবং বমিবমি ভাব তৈরি করে।
৫। টমেটো
টমোটো খালি পেটে খাওয়া হলে এর মধ্যে বিদ্যমান এসিড গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এসিডের সাথে মিশে পাকস্থলির মধ্যে বিক্রিয়া করে এক ধরনের অদ্রবণীয় জেল তৈরি করে; যা পাকস্থলিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে।
৬। ওষুধ
কিছু কিছু গ্যাসট্রিকের ওষুধ খাওয়ার আগে খেতে বলা হয়। তবে অধিকাংশ ওষুধ ভরা পেটে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যখন খালি পেটে ওষুধ খাওয়া হয় এটা পাকস্থলিতে অস্বস্থিকর অবস্থার তৈরি করে।
৭। ঝাল জাতীয় খাবার
আমরা অনেকেই ঝাল জাতীয় খাবার খেতে ভালোবাসি, তবে খালি পেটে ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে এসিডিক বিক্রিয়া হয়ে পেট জ্বালাভাব তৈরি হয়।
৮। চা ও কফি
চা এবং কফি একদমই খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়। কারণ চায়ের মধ্যে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় এসিড যা পাকস্থলির আবরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অন্যদিকে, কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইনও পাকস্থলির জন্য ভালো নয়। তাই খেতে হলে আগে অন্তত একগ্লাস পানি খেয়ে নিন।
মাঝে মধ্যে অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় নিজেদের অথবা তাদের যৌনসঙ্গিনীর চাহিদার তুলনায় দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন। প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের সহজ বাংলা হলো দ্রুত বীর্যপাত হওয়া। যদি এটা কদাচিৎ ঘটে তাহলে তেমন সতর্ক হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু যদি নিয়মিত আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত ঘটে অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরে আপনার বীর্যপাত ঘটে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার যে সমস্যাটি হচ্ছে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। পরিসংখ্যানে ভিন্নতা রয়েছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন এ সমস্যায় আক্রান্ত হন। যদিও এটি একটি সাধারণ সমস্যা, যার চিকিৎসা রয়েছে; কিন্তু অনেক পুরুষ এ বিষয়ে তাদের চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে কিংবা চিকিৎসা নিতে সঙ্কোচ বোধ করেন।
একসময়ে ধারণা করা হতো, প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন বা দ্রুত বীর্যপাতের কারণ হলো সম্পূর্ণ মানসিক; কিন্তু বর্তমানে বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দ্রুত বীর্যপাতের ক্ষেত্রে শারীরিক বিষয়গুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাতের সাথে পুরুষত্বহীনতার সম্পর্ক রয়েছে। আপনি আর দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা নিয়ে জীবন কাটাবেন না। বর্তমানে অনেক চিকিৎসা বেরিয়েছে- যেমন বিভিন্ন ওষুধ, মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং ও বিভিন্ন যৌনপদ্ধতির শিক্ষা। এগুলো বীর্যপাতকে বিলম্ব করে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর যৌনজীবনকে মধুর করে তুলবে। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা খুব ভালো কাজ করে।
উপসর্গ: একজন পুরুষ বীর্যপাত করতে কতটা সময় নেবেন সে ব্যাপারে চিকিৎসাবিজ্ঞানে কোনো আদর্শ মাপ নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। এমনকি হস্তমৈথুনের সময়ও কিংবা শুধু অন্যের সাথে যৌনমিলনের সময়।
প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়-
এক. প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন : এটি হলো আপনি যৌন সক্রিয় হওয়া মাত্রই বীর্যপাত ঘটে যাওয়া।
দুই. সেকেন্ডারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন : এ ক্ষেত্রে আগে আপনার যৌনজীবন তৃপ্তিদায়ক ছিল, কিন্তু বর্তমানে দ্রুত বীর্যপাত ঘটছে।
কারণ :- কী কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে আমরা জানি, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল ব্যাপার এবং এর সাথে মানসিক ও জৈবিক দু’টিরই সম্পর্ক রয়েছে।
মানসিক কারণ :- কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রাথমিক বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি ধরনে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, পরবর্তী জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন-
লোকজনের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর তাগিদ।
অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
পুরুষাঙ্গের শিথিলতা :- যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন, সেসব পুরুষের দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে।
দুশ্চিন্তা :- দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। সেটা যৌনকাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে হতে পারে। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।
জৈবিক কারণ :-
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে:
হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা
মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা
বীর্যস্খলনব্যবস্থার অস্বাভাবিক ক্রিয়া
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রমণ
বংশগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য
খুব কম ক্ষেত্রে নিচের কারণগুলোর জন্য দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে-
সার্জারি কিংবা আঘাতের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হওয়া।
নারকোটিকস বা মাদক কিংবা দুশ্চিন্তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ট্রাইফ্লুপেরাজিন প্রত্যাহার করা এবং অন্য মানসিক সমস্যা থাকা।
যদিও বেশির ভাগ প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক দু’টি বিষয়ই দায়ী। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন প্রাথমিকভাবে সবচেয়ে দায়ী হলো শারীরিক কারণ যদি সেটা জীবনভর সমস্যা হয়ে থাকে (প্রাইমারি প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন)।
ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়:-
বিভিন্ন বিষয় আপনার দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যেমন-
পুরুষাঙ্গের শিথিলতা : যদি আপনার লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হয়, কিংবা মাঝে মাঝে উত্থিত হয় কিংবা উত্থিত হলেও বেশিক্ষন উত্থিত অবস্থায় না থাকে তাহলে আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। যৌনসঙ্গমের সময় আপনার লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না এমন ভয় আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। প্রতি তিনজন পুরুষের মধ্যে একজনের এ ধরনের লিঙ্গোত্থান সম্পর্কিত দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা থাকে।
স্বাস্থ্য সমস্যা : যদি আপনার এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে আপনি যৌনমিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করেন, উদাহরণস্বরূপ যদি আপনার হৃদরোগ থাকে তাহলে দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।
মানসিক চাপ : আপনার জীবনে আবেগজনিত কিংবা মানসিক চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।
ওষুধ : কিছু ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটাতে পারে।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন:
বেশির ভাগ যৌনমিলনের সময় যদি আপনি আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর আকাক্সক্ষার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত করে ফেলেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। আপনার যৌনজীবন মধুর করতে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়:
চিকিৎসক আপনার বিস্তারিত যৌন ইতিহাস জেনে তার ওপর ভিত্তি করে দ্রুত বীর্যপাত রোগ নির্ণয় করেন। চিকিৎসক আপনাকে অনেক একান্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং আপনার সঙ্গিনীকেও উপস্থিত থাকতে বলতে পারেন। যদিও সেক্স সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলতে আপনাদের দু’জনেরই অস্বস্তিবোধ হতে পারেন তবুও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে চিকিৎসক আপনার সমস্যার কারণ নিরূপণ করতে সাহায্য করবেন এবং সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা দিতে পারবেন।আপনার চিকিৎসক আপনার স্বাস্থ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন। তিনি আপনার সাধারণ শারীরিক পরীক্ষা করতে পারেন।
আপনার চিকিৎসক আপনার কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইতে পারেন :
কত দ্রুত আপনার বীর্যপাত ঘটে?
একজন বিশেষ সঙ্গিনীর বেলায় কি আপনার দ্রুত বীর্যপাত হয়?
আপনি যতবার যৌনমিলন করেন, ততবারই আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটে?
আপনি কতবার যৌনমিলন করেন?
দ্রুত বীর্যপাত আপনার যৌন আনন্দ লাভে এবং আপনার সার্বিক জীবনে কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলে?
আপনার লিঙ্গ উত্থান হতে কিংবা দীর্ঘ সময় উত্থান অবস্থায় থাকতে কি সর্বদা সমস্যা হয়?
আপনি এ সমস্যার জন্য কী কী ওষুধ গ্রহণ করেন?
আপনার দ্রুত বীর্যপাতের কারণ উদঘাটন করতে আপনার কিছু মানসিক বিষয়ও জানা প্রয়োজন।
চিকিৎসক আপনার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাইতে পারেন :
আপনার ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষা
আপনার প্রাথমিক যৌন অভিজ্ঞতা
আপনার অতীত ও বর্তমানের যৌনসম্পর্ক
আপনার বর্তমান সম্পর্কের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ
যদি আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে থাকে এবং আপনার লিঙ্গোত্থানে সমস্যা হয়, তাহলে আপনার চিকিৎসক আপনার পুরুষ হরমোনের মাত্রা (টেস্টোস্টেরন) দেখার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষাসহ আরো কিছু পরীক্সা করতে দিতে পারেন।
জটিলতা:যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিন্তু এটা আপনার ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন-
সম্পর্কে টানাপড়েন :- দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌনসঙ্গিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতি। যদি দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনার সঙ্গিনীর সাথে মনোমালিন্য চলে, আপনি দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। আপনার চিকিৎসাপদ্ধতির মধ্যে দ্বৈত থেরাপিও থাকবে।
বন্ধ্যত্ব সমস্যা :- দ্রুত বীর্যপাত মাঝে মধ্যে আপনার বন্ধ্যাত্ব ঘটাতে পারে। যেসব দম্পতি সন্তান নেয়ার চেষ্টা করছেন সেটা অসম্ভব হতে পারে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে আপনার ও আপনার সঙ্গিনীর দু’জনেরই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
চিকিৎসাব্যবস্থা : দ্রুত বীর্যপাতের চিকিৎসাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সেক্সুয়াল থেরাপি, ওষুধপত্র ও সাইকোথেরাপি। অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে সমন্বিত চিকিৎসা সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
সেক্সুয়াল থেরাপি :- এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনাকে বুঝিয়ে দেবেন যৌনমিলনের সময় আপনাকে কী করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌনমিলনের এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা আগে হস্তমৈথুন করতে পারেন, যাতে যৌনমিলনের সময় দেরি করে বীর্যপাত হয়। চিকিৎসক আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় যৌনমিলন থেকে বিরত থাকার কথা বলতে পারেন।
অন্য একটা পদ্ধতি রয়েছে, যা আপনার চিকিৎসক আপনাকে ও আপনার সঙ্গিনীকে শিখিয়ে দেবেন। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করলে অবশ্যই আপনার দ্রুত বীর্যপাতের উন্নতি ঘটবে। এ পদ্ধতিকে বলে স্কুইজ পদ্ধতি। এটির চারটি ধাপ রয়েছে, যা আপনার সঙ্গিনী আপনার ওপর প্রয়োগ করবে। এ পদ্ধতি বারবার অনুশীলন করার পর আপনি বীর্যপাত ছাড়াই আপনার সঙ্গিনীর শরীরে প্রবেশ করতে পারবেন। এ পদ্ধতি ভালো করে অনুশীলন করলে ভবিষ্যতে আবার তা অনুশীলন করার প্রয়োজন হবে না। তখন আপনি দেরি করে বীর্যপাত করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বেন।
প্রতিরোধ :-
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে যৌনসঙ্গিনীর সাথে ঠিকমতো যোগাযোগ বন্ধন গড়ে না ওঠার কারণে। পুরুষ ও নারীর মধ্যকার যৌনকাজের পার্থক্য না বোঝার কারণে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত ঘটে। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটা দম্পতির মধ্যে যৌন অসন্তুষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নারী ও পুরুষ একে অপরকে খোলামেলা বুঝতে পারলে দু’জনের জন্যই যৌন আনন্দ লাভ করা সহজ হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি আপনি আপনার সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌনসুখ লাভ না করেন তাহলে তার সাথে খোলামেলা আলাপ করুন। আপনাদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায় তা খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। আপনাদের মধ্যকার আলোচনা আপনার চিকিৎসকের সামনেও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ করুন।
দ্রুত বীর্যপাত হয় এমন অনেক পুরুষ হতাশা বোধ করেন। এমনকি লজ্জা ও অপমানে জর্জরিত হন। আপনার জানা উচিত, এ সমস্যা খুব সাধারণ এবং এর চিকিৎসাও রয়েছে। যদি দ্রুত বীর্যপাতের কারণে আপনি বা আপনার সঙ্গিনী হতাশ হয়ে পড়েন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন, অবশ্যই আপনার যৌনজীবন আনন্দময় ও সুখের হয়ে উঠবে।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: এখন থেকে চুমুতে মিলবে অ্যালার্জি সমস্যার সমাধান। সহযোগীকে নিবিড় চুমুতে মিটে যাবে অ্যালার্জির সমস্যা। মজার এ তথ্য প্রকাশ করে ‘ইগ’ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জাপান ও স্লোভাকিয়ার বিজ্ঞানীরা। ‘ইগ’ নোবেলে এ বছর বেরিয়ে এসেছে ১০টি মজার তথ্য।
গত বৃহস্পতিবার রাতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইগ’ নোবেলএর ২৫তম আসর অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিজ্ঞানীরা ছাড়াও যোগ দেন অধ্যাপক, শিক্ষার্থী এবং প্রকৃত নোবেল বিজয়ীরাও। সেখানেই জাপান এবং স্লোভাকিয়ার বিজ্ঞানীরা চুমুর বিস্ময় ক্ষমতা তুলে ধরে ‘ইগ’ নোবেল মেডিসিন বিভাগে সেরা মনোনীত হন।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘নিবিড় চুমু’ ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান ঘটায়। তবে চুমু কী উপায়ে ত্বকের সমস্যা দূর করে তার ব্যাখ্যা সম্মেলনে দেননি ওই দুই দেশের বিজ্ঞানীরা। তাদের গবেষণার ফল হাভার্ডের সায়েন্স জার্নালে শীঘ্রই প্রকাশ হবে।
এদিকে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, ‘ইগ’ নোবেল আবার কী? এটি হলো অন্য ধরনের গবেষণাকে প্রণোদনা যোগাতে ‘নোবেল’ পুরস্কারের আদলে গড়া অন্য আরেক শাখা। হাস্যকর অনেক বিষয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ‘বৈজ্ঞানিক সত্য’ প্রতিবছর বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন।
চলতি বছর গবেষণায় পাওয়া উল্লেখযোগ্য মজার তথ্যের মধ্যে রয়েছে- মুরগির পেছনের অংশে লাঠি লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন কীভাবে ডাইনোসরেরা হাঁটাচলা করত। তারা দেখিয়েছেন, ‘হুহু’ শব্দটি পৃথিবীর সব ভাষাতেই রয়েছে। উত্তর আফ্রিকার এক রাজা ৩০ বছরে কীভাবে ৮৮৮ সন্তানের বাবা হয়েছেন তা অংক কষে বের করেছেন ‘ইগ’ নোবেল পাওয়া বিজ্ঞানীরা।
বছর খানেক আগে বিজ্ঞানীরা বরফের ওপর দিয়ে হাঁটার সহজ উপায় তুলে ধরে ‘ইগ’ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। বরফে চলতে বিশেষ জুতোর বদলে সাধারণ জুতোর বাইরে মোজা পরে নিলে একই সুবিধা পাওয়া যায় জানিয়েছিলেন তারা।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: বেশ কিছু দিন ধরেই কোনো কাজেই মন বসছে না? কিছুই করতে ভাল লাগছে না? আপনি ভাবছেন নিত্যদিনের স্ট্রেসের কারণেই অবসাদ বাড়ছে মনে। এক বার মনোবিদের কাছে যাবেন কি না তাও ভাবছেন। সে আপনি মনোবিদের কাছে যেতেই পারেন তবে তার আগে এক বার নিজের খাওয়া দাওয়ার উপর নজর দিন তো। মাছ, মিষ্টি অ্যান্ড মোর—যা খাবার বিনা আপনি নিজেকে অসম্পূর্ণ ভাবেন সেই খাবার কমিয়ে বেশি করে খান ফল-শাকসব্জি। কারণ তাতেই কমবে মনের অবসাদ। এক সমীক্ষায় প্রকাশ খাদ্যে পুষ্টি কম হলেই বাড়ে মনের অবসাদ। গবেষকদের দাবি,বেশি করে শস্যদানা, ফল, শাক-সব্জি, বাদাম খেলে কমবে অবসাদ।
স্পেনের লা পালমা দ্য গ্রাঁ কানারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক এই সমীক্ষাটি করেন। আলমুদেনা সাঞ্চেজ ভিলেগাসের নেতৃত্বে এই গবেষণা চালানো হয়।
সাঞ্চেজ জানিয়েছেন, খাদ্যের সঙ্গে কী ভাবে মনের যোগ, তা জানতেই চালানো হয় গবেষণা।
বছর দশেক ধরে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের খাবার, নিরামিষ-দুগ্ধজাতীয় খাবার এবং বিকল্প হেলদি ইটিং ইন্ডেক্স—তিন ধরনের খাবার বেছে নেন তাঁরা। প্রায় ১৬ হাজার মানুষের উপর চালানো হয় গবেষণা। এঁদের মধ্যে কয়েক জন স্পেনের নাভারা-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া কেউ বা আবার চাকুরিজীবী। অবসাদমুক্ত দেখেই তাদের এই কাজের জন্য বেছে নেয়া হয়।
প্রত্যেকেই দেয়া হয় একটি স্কোরিং সিস্টেম। যে যত বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার খান তত বেশি সে হাই স্কোর করেন। মাংস বা মিষ্টির মতো প্রাণীজ ফ্যাট যুক্ত খাবার নেগেটিভ স্কোর করে। পজিটিভ স্কোর করে মিনারেল, ভিটামিন এবং উপকারী ওমেগা ৩-ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত শস্যদানা, ফল, শাক-সব্জি, বাদামের মতো খাবার।
সাঞ্চেজের দাবি, বেছে নেওয়া প্রতিটি খাবারই স্বাস্থ্যকর, কিন্তু দেহের পুষ্টির পাশাপাশি মনের খোরাকও সেই সব খাবারে কতটা মেটে তা জানতেই করা হয়েছে গবেষণাটি। যে সব খাবার হাই স্কোর করেছে বুঝতে হবে সেই সব খাবার নিয়মিত খেলে কমবে অবসাদ। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে বিএমসি মেডিক্যাল জার্নালে।
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের হিসাব মতে এ মৌসুমে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৪০ জন, মারা গেছেন চারজন। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন ৯৯ জন। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ মৌসুমের আগস্টে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। আগস্টে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭২৭ জন।
এদিকে সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একজন বিদেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তা নিশ্চিত করতে পারেননি। .নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানা গেছে, যে চারজন এখন পর্যন্ত মারা গেছেন, তাঁদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও তিনজন বেসরকারি ক্লিনিকে মারা যান। রাজধানীর বড় ৪০টি হাসপাতাল থেকে নিয়মিত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য সরকারকে দেওয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে। এ সময়ে জ্বর বা গায়ে ব্যথা হলে ডেঙ্গুর কথা মাথায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর তেমন মারাত্মক রোগ নয়। এ থেকে মৃত্যুহার ১ শতাংশেরও কম।
তবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিনড্রোম প্রাণঘাতী হতে পারে বলে জানিয়েছেন এই বিশেজ্ঞ চিকিৎসক।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ বলেন, সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের রোগীর যখন বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের প্রমাণ মেলে (যেমন মাড়ি বা নাক থেকে রক্তক্ষরণ, মলের সঙ্গে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি) তখন একে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়। অধিক রক্তক্ষরণের ফলে শরীরের জলীয় উপাদান কমে যায়। এতে রক্তচাপ কমে। এটাই ডেঙ্গু শক সিনড্রোম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে আর ডেঙ্গু হয় না ধারণাটা ঠিক নয়। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ভিন্ন প্রজাতি আছে। এর একটি দিয়ে সংক্রমিত হলে সেই প্রজাতির বিপরীতে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়, কিন্তু পরবর্তী সময়ে অন্যটির মাধ্যমে সংক্রমণ হতে পারে। পরবর্তী সংক্রমণ সাধারণত আগের তুলনায় তীব্র হয়। শুরু থেকে সতর্ক থাকলে শক সিনড্রোমও প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
সৌজন্য… প্রথম আলো
বুকের দুধেও ভেজাল। বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। কারণ, অনলাইন শপিংয়ের যুগে এখন এক ক্লিকে কিনে নেওয়া যায় মায়ের দুধও। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি হয় মায়ের দুধ। অনলাইনে এমন দুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর এ সুযোগে আরো অনেক কিছুর মতো এই দুধেও এখন ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে। এমনই সমীক্ষা প্রকাশ পেয়েছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে।
সমীক্ষায় বলা হয়, বিশেষজ্ঞরা অনলাইনে ১০২টি জায়গা থেকে মায়ের দুধ কিনে পরীক্ষা করে দেখেছেন বেশির ভাগ দুধেই মারাত্মক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস রয়েছে, যা শিশুদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। বুকের দুধের নামে ওই সব দুধে গরুর দুধ মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে বিপদ বাড়ছে।
অনলাইনে বুকের দুধ কেনার চাহিদা বাড়ায় অর্থ উপার্জনের লোভে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। আমেরিকায় বুকের দুধ কেনার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও অনলাইন বুকের দুধ কেনার ব্যাপক চল শুরু হয়েছে। `Only The Breast` নামে এক ওয়েবসাইটে বিক্রি হয় এমন দুধ। এই ওয়েবসাইটে বুকের দুধ বিক্রি হয় ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। যে কেউ সাইন ইন করে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মায়ের দুধ কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটে বুকের দুধ বিক্রি করা এক নারী জানান, তিনি ১০০ মিলিলিটার দুধ বিক্রি করেন ১০ ইউরোয়। তিন মাস আগে তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। সন্তানকে খাওয়ানোর পর অতিরিক্ত দুধ তিনি `Only The Breast` নামের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করেন।-তথ্যসূত্র : জি নিউজ।
খাদ্য মানুষের জীবনের একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয় খাদ্য। সুস্থ থাকার জন্য কি খাবেন তা নিয়ে কৌতূহল থাকাটা তাই স্বাভাবিক।
নিজেকে ফিট ও সুস্থ রাখতে প্রতিদিন পাতে রাখুন সবজি, প্রোটিন, ফল, শস্য ও দুগ্ধজাত— এই পাঁচ ধরনের খাবার।
সবজিতেই স্বস্তি
দীর্ঘায়ুর জন্য অনেককেই সবজির দিকে ঝুঁকতে দেখা যায়। প্রাণিজ আমিষ দ্রুত জীবনী শক্তি কমিয়ে দেয় বলে অনেকের ধারণা। আসলে সবজিতে আছে পটাসিয়াম, ফাইবার, ফলিক এসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি। এ সব উপাদান রক্তে কোলস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও লোহিত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। এ ছাড়া স্ট্রোক, ক্যান্সার, হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়বেটিকসের মতো প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত সবজির বিকল্প নেই।
শক্তির উৎস প্রোটিন
শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে প্রয়োজনীয় কোষ-কলার গঠন ও বিকাশের অন্যতম উপাদান প্রোটিন। পাশাপাশি এনজাইম, হরমোন, হাড়, পেশী, তরুণাস্থি, ত্বক ও রক্ত তৈরিতেও প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পর্যাপ্ত প্রোটিন পেতে তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন দানা জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক মাছ, মাংস ও সয়াবিন।
প্রয়োজন শস্যজাতীয় খাদ্য
শস্যজাতীয় খাদ্যে আছে আঁশ, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি এবং লৌহ ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। পর্যাপ্ত পরিমাণে শস্যজাতীয় খাদ্যগ্রহণ দুরারোগ্য বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধির ঝুঁকি কমায়। তাই নিরোগ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্যজাতীয় খাদ্য রাখা প্রয়োজন।
ফলাহারেই ফিট
সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন তাজা ফল। ফলের রসের পরিবর্তে আস্ত ফলটিই খান। ফলে আছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও অন্যান্য খনিজ উপাদান। পটাসিয়াম, ফাইবার ও ফলিক এসিড। প্রতিদিন ফল খেলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি। এ ছাড়া পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কিডনিতে পাথর হওয়া ও হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
আদর্শ খাদ্য দুধ
দুধকে বলা হয় আদর্শ খাদ্য। প্রায় সব ধরনের খাদ্য উপাদানে ভরপুর দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার। দুধে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ফলিক এসিড, রিবোফ্লাবিন ও আয়োডিন। হাড় ও দাঁতের গঠন, প্রখর দৃষ্টিশক্তি, কোষ-কলার সঠিক বৃদ্ধি, সুন্দর ত্বক ও হজমে সহায়তা করে দুধ।
তাই সুস্থ ও নিরোগ শরীর পেতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন এই পাঁচ ধরনের খাবার। সকাল, দুপুর ও রাতে ভারি খাওয়ার পাশাপাশি দুইবার অন্তত হালকা নাস্তা করুন। এ ছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়ামের জন্য ব্যয় করলে সুস্থ ও ফিট শরীর আপনার সমার্থক হয়ে উঠবে।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: যে নারীরা সপ্তাহে অন্তত দুবার ইনস্ট্যান্ট নুডলস খান, তাঁরা বেশ বড় রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক দাবি করেছেন, এই নারীরা রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
কোরিয়ান ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন এক্সামিনেশন সার্ভে নামে এই পরিসংখ্যানে ১০ হাজার ৭১১ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ওপর গবেষণা করা হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখতে পান, যেসব নারীরা সপ্তাহে দুদিনের বেশি ইনস্ট্যান্ট নুডলস খেয়েছেন তাঁদের মেটাবলিক সিন্ড্রোমের ঝুঁকি ৬৮ শতাংশ বেশি থাকে। একই ঘটনা পুরুষের সঙ্গে ঘটে না।
মেটাবলিক সিন্ড্রোম হলো বেশ কিছু সমস্যার সম্মিলিত অবস্থা। যেখানে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই সঙ্গে কোমরে অত্যধিক চর্বিও জমা হয়।
নিউট্রিশন জার্নালে গবেষকরা বলছেন, ইনস্ট্যান্ট নুডলস গ্রহণ করার কারণে নারীর মেটাবলিক সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অন্যভাবে বলতে গেলে, সপ্তাহে একজন নারী কতটুকু ভাত, মাছ বা সবজি খাচ্ছেন কিংবা মাংস বা ভাজা খাবার খাচ্ছেন তার ওপরে নয় বরং তিনি সপ্তাহে দুবারের বেশি ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাচ্ছেন কি না তার ওপর নির্ভর করছে তাঁর স্বাস্থ্যঝুঁকির সমস্যা।
তবে এই প্রভাবটা কেন শুধু নারীদের ওপরেই দেখা যায়, পুরুষের ওপরে নয় সে বিষয়টি এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
এসব তথ্য পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করে পাওয়া গেছে। তাই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ফ্রাংক হু মনে করেন, এটা এ কারণে হতে পারে যে নারীরা কার্বোহাইড্রেট, চর্বি ও লবণের বিষয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই প্রভাবটাও তাদের ওপর বেশি পড়ে।
তাহলে কতটুকু পরিমাণ ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাওয়া যেতে পারে, সে প্রশ্নের জবাবে নিউইয়র্ক টাইমসকে অধ্যাপক ফ্র্যাংক বলেন, ‘মাসে একবার বা দুবার খেলে সমস্যা হবে না। তবে সপ্তাহে কয়েকবার খেলে অবশ্যই সমস্যা হবে।’