March 26, 2025
ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের আশপাশের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে নতুন শিল্প-কারখানা অনুমোদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।
ওই ১০ কিলোমিটার ব্যসের মধ্যে কতগুলো শিল্প-কারখানা বর্তমানে রয়েছে তার তালিকা ছয় মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আইনজীবী জাকির পরে সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর সম্প্রতি সুন্দরবনের পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায়, অর্থাৎ ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কমবেশি ১৫০টি ছোটোবড় শিল্প কারখানা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
এসব শিল্পকারাখানা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘সেইভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের’ সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম গত ১২ এপ্রিল হাই কোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়েই আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছে বলে জানান জাকির।
সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প কারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯ সালের ৩০ আগস্টের প্রজ্ঞাপনের লঙ্ঘন হবে না এবং নতুন শিল্প কারখানা কেন অপসারণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
পরিবেশ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সুন্দরবনের আশে-পাশের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৯ সাল এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সুন্দরবনের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ৫ ধারার (১) ও (৪) উপধারার ধারার ক্ষমতাবলে সংরক্ষিত এ এলাকাকে পরিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।
“এ প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের এ ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু গণমাধ্যমে খবর এসেছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে। যার মধ্যে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্প রয়েছে।”
এসব শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদ ও পরিবেশ আইন ১৯৯৫-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে দাবি করা হয় রিট আবেদনে।
প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের শাররীক অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। তিনি লন্ডনের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন বলে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক মুখপাত্র বাসস’কে জানান।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদের বাসস’কে বলেন, ‘তিনি এখনও হাসপাতালে আইসিইউতে আছেন।’
তিনি জানান, ডাক্তাররা আজ সন্ধ্যার পরে আনিসুল হকের চিকিৎসার পর্যালোচনা করবেন।
এর আগে, ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মনোয়ার হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় বাসস’কে জানান, মেয়রের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা উন্নতির দিকে।
মেয়র আনিসুল হক সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেয়রের পারিবারিক সূত্র জানায়, মেয়র আনিসুল হক আগে থেকেই কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। তবে চিকিৎসকরা তার সমস্যাটা ঠিক ধরতে পারেননি।
গত ২৯ জুলাই ব্যক্তিগত সফরে তিনি লন্ডন যান।
সুত্র : বাসস
স্বাস্থ্য ডেস্ক : ডায়াবেটিস রোগীদের বেশিরভাগই রাতে ভালোমতো ঘুমাতে পারেন না। আনুমানিক ৪০-৫০ ভাগ ডায়াবেটিস রোগীই নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। কম ঘুমানোর ফলে তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, নিদ্রাহীনতা তাদের মেজাজ এবং স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এমনটিই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লুইস স্টোকস কিভল্যান্ড ভিএ মেডিক্যাল সেন্টারের স্লিপ ডিসওর্ডারের পরিচালক ডা. কিংম্যান স্ট্রল। তিনি বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের সবার আগে ঘুমকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। কারণ ভালো ঘুমই তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কাজেই জেনে নিন ডায়াবেটিস রোগীদের ভালো ঘুমানোর কিছু টিপস-
অতিরিক্ত ওজন কমান
নিদ্রাহীনতার অন্যতম কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ওজন। ২০০৯ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীদের শতকরা ৮৬ শতাংশই নিদ্রাহীনতায় ভোগে। এই অবস্থার দ্রুত সমাধান করতে পারে কেবল ওজন কমানো। তাই রাতে ভালো ঘুমাতে চাইলে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলুন। আর মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
রুটিন করুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো রুটির মেনে চলা। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কাজেই দৈনন্দিন জীবনে রুটিনমতো ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
স্নায়ু পরীক্ষা করান
ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি হলো এমন একটি সমস্যা যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে হাত ও পায়ের স্নায়ু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিউরোপ্যথিতে ডায়াবেটিস রোগীরা পায়ে কম শক্তি এবং ব্যথা অনুভব করেন। ফলে এ সময় রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায়। তখন তারা ভালোমতো ঘুমাতে পারেন না। কাজেই এ সময় ডাক্তারের গিয়ে স্নায়ুগুলো পরীক্ষা করান এবং তার পরামর্শ মেনে চলুন।
চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
যে কোন বিষয়ে চাপ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কাজেই চাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে রুটিনমতো ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। চাইলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল সারতে পারেন। এতেও ভালো ঘুম হবে।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
ভালো ঘুমাতে চাইলে সবসময় অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। ঘুমানোর আগে এটি পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কাজেই ঘুমাতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই এটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
ধুমপান ত্যাগ করুন
এতে নিকোটিন নামে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যেটি মাথা ব্যথাসহ শরীরের আরও নানা সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কাজেই ধুমপান একেবারেই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি ভালো ঘুমও হবে।
তথ্যসূত্র: ইনফরমেশন অ্যাবাইট ডায়াবেটিস।
ডেস্ক রিপোর্ট : জামদানির পর এবার ইলিশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) স্বত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন শুধু সনদ হস্তান্তরের অপেক্ষা। চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য অধিদফতরের হাতে ইলিশের জিআই নিবন্ধনের সনদ তুলে দেওয়ার আশা করছেন পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর বলছে, জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ। এখন সনদ হাতে পাওয়ার অপেক্ষা।
তবে স্বত্ব পাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও অবহিত নয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল জলিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনও অবহিত নই। বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্প মন্ত্রণালয়কে কেউ জানায়নি।’
তবে এ মেধাস্বত্ব পাওয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে যে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে তা উল্লেখ করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়াইপিও’র শর্ত মেনেই বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তারসহ যাবতীয় তথ্যপ্রমাণাদি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তথ্যপ্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চলতি বছরের ১ জুন নিজস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদফতর। আশঙ্কা ছিল, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার ইলিশের জিআই নিবন্ধনের ব্যাপারে আপত্তি জানাতে পারে। কিন্তু নিবন্ধন প্রকাশের দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এ দুই দেশ আপত্তি তোলেনি বলে জানা গেছে।
এর আগে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাওয়ার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জিআই নিবন্ধনের আবেদন করে মৎস্য অধিদফতর।
পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস অধিদফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘জার্নাল প্রকাশের দুই মাস অপেক্ষা করাটা বাধ্যতামূলক। সেই দুই মাস ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে। আমরা কোনও আপত্তি পাইনি। সুতরাং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের ইলিশের নিবন্ধন দিতে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর ইলিশ বিপণনের ক্ষেত্রে স্বত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। এর ফলে বর্তমানের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দাম পাবেন জেলেরা।
বাংলাট্রিবিউন
ডেস্ক রিপোর্ট : সফলভাবে মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপ্রচার সম্পন্ন হয়েছে। বায়োপসির জন্য তার হাত থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত টিস্যু পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তামনি এখন ভালো আছে। তাকে এখন আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বিকালে কেবিনে দেবো।’
অস্ত্রোপচার করতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। অপারেশশের পুরো প্রক্রিয়ার যুক্ত ছিলেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন, পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার, অধ্যাপক ডা. রায়হানা আওয়াল, সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ, সহকারী হেদায়েত আলী, কনসালটেন্ট ডা. আবু ফয়সাল, ডা. শারমিন সুমি, আবাসিক সার্জন হুসেন ইমাম, ডা. মাহবুবুর রহমান. ডা. লতা। আর অ্যানেসিথেশিয়ার বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর আহমেদ, ডা. মৌমিতা তালুকদার ও ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
এর আগে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপারেশনে ঝুঁকি আছে। আজ অপারেশনের পর এ বিষয়ে জানতে চাইলে বার্ন ইউনিউটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের কোনও সমস্যা বা জটিলতা হয়নি। সফলভাবে আমরা টিস্যু কালেক্ট করতে পেরেছি। সমস্যা যাতে না হয় এজন্য অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের প্রধান ডা. মোজাফফর হোসেন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। বায়োপসির রিপোর্ট আসার পর মুক্তমনির চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সোমবার (৭ আগস্ট) আমরা আবার বসবো। এরপর পরবর্তী করনীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।’
বায়োপসি রিপোর্ট আসা এবং সোমবার আলোচনায় বসা নিয়ে জানতে চাইলে ডা. তানভীর আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বায়োপসি রিপোর্ট আসতে সাধারণত ৫-৭ দিন সময় লেগে যায়। তবে এটা যেহেতু বিশেষ কেস তাই নির্ধারিত সময়ের আগে চলে আসতে পারে। এমনিতেই আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার বসবো। এর মধ্যে বায়োপসি রিপোর্ট এসে গেলে তা হবে বিশেষ সুবিধা।’
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার অস্ত্রোপচার শুরু হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তির পর প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে, লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ পায় কারও কারও ক্ষেত্রে, কারও-কারও ক্ষেত্রে পায় না। তবে মুক্তামনি এতদিন অবহেলা আর অপচিকিৎসার শিকার হয়েছে বলে পরিবার ও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে।
ডেস্ক রিপোর্ট : তিতুমীর কলেজের আহত শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিদ্দিকুর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নই, তবে দেশে ফিরার পর তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাকরি দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের আহত শিক্ষার্থীর চোখ ভালো হবে কিনা জানিনা। তবে তার চোখ ভালো করার জন্য সব ধরণের চেষ্টা করা হবে। তার চোখ ভালো হোক বা না হোক ঢাকায় ফিরে এলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তাকে অবশ্যই একটা চাকরি দেবো।’
ডেস্ক রিপোর্ট : বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। মঙ্গলবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে তারা। এর ফলে রোগীরা সঠিক নির্দেশনা পাওয়ার পাশাপাশি সচেতনতা তৈরি হলে রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আগের দিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল টিম কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে সকাল থেকে রাজধানীতে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
মূলত 09611000999 এই হটলাইনে ফোন করে যারা চিকিৎসা সেবা চাচ্ছেন তাদের কাছেই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে এই সেবা। আর ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী এবং তাদের স্বজনরা।
গত কয়েক মাস ধরে রাজধানীবাসির কাছে আতঙ্কের নাম চিকুনগুনিয়া। আর মশকবাহী এই রোগ প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের ভুমিকা নিয়েও ছিল নানা সমালোচনা। সেখানে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এই উদ্যোগে কিছুটা হলেও ভরসা পাচ্ছেন চিকুন গুনিয়া আক্রন্তরা।
ডেস্ক রিপোর্ট : গণমাধ্যমে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব যেভাবে প্রচার করা হয়েছে, বাস্তবে তা নয় বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘এই রোগের মহামারি রূপ ধারণ করার প্রশ্নই উঠে না।’
শনিবার (২২ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু সম্পর্কিত বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় মেয়র সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
সভায় সাঈদ খোকন ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক,স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের ডা. টিটু মিয়া, অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় চিকুনগুনিয়া রোগের ধরন ও গতিবিধি বুঝতে সময় লাগলেও প্রাদুর্ভাবের কয়েকদিন পরই মাঠে নেমেছে সিটি করপোরেশন। তবে মশক নিধনসহ চিকুনগুনিয়া বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সিটি করপোরেশন। আর সিটি করপোরেশনের সরবরাহ করা মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসাসেবা দিতে সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল টিম বাসায় পৌঁছে যাবে।’ তবে নতুন নতুন ভাইরাস ও রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
একই সুরে কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমেছে। মশক নিধন কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন প্রকার মশা চিহিৃত করে তাদের প্রকৃত প্রজননস্থান ও বাহিত ভাইরাস এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ নিয়ে গবেষণা করতে হবে।’
মশা বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘দেশে ১২৩ প্রকারের মশা রয়েছে। তবে চার থেকে পাঁচ প্রকারের মশাই বেশ আলোচিত। বাকি অনেক মশার ক্ষতিকারক দিক ও গতিবিধি এখন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা দরকার। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে প্রাদুর্ভাব হওয়া সংক্রামক রোগসমূহ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি থাকতে হবে। বিগত সময়ের অভিজ্ঞতাসমূহ তাই বলে দিচ্ছে। বর্তমানে রাজধানীর ২ হাজার বাসায় গিয়ে বিভিন্ন প্রকার মশার নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। পরবর্তীতে এই পর্যবেক্ষণমূলক কাজের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’
সূত্র : বিডিনিউজ২৪।
ডেস্ক রিপোর্ট : খুব শিগগিরই এডিস মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া রোগ থেকে মুক্ত হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।এমন আশা ব্যক্ত করেছেন ডিএসসিসি’র মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টায় চিকুনগুনিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।’
মঙ্গলবার পুরনো ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, ‘আজ আমাদের ৫৭টি ওয়ার্ডেই জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি বলেছি, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে আসবে। এজন্য প্রতিটি সংস্থার প্রত্যেককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সচেতনতা বাড়াতে হবে। মশা উৎপাদনের স্থানগুলো ধ্বংস করতে হবে। সবার চেষ্টায় দ্রুতই চিকুনগুনিয়া মুক্ত হবে এই ঢাকা।’
জনসচেতনতামূলক র্যালিতে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সালেহ ভুইয়াসহ লক্ষ্মীবাজার ও আশেপাশের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন।
গবেষকদের মতে মানব শরীরে ২০-৫০ এনজি / এমএল মাত্রার ভিটামিন ডি একজন সুস্থ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত বলে বিবেচিত হয়। যখনি এই স্তরটি কমে ১২ তে নেমে আসে তখন শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম, পেশী, রক্ত সঞ্চালন এবং এমনকি মস্তিষ্কের উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি-এর অভাব থাকে তবে কি ভাবে জানবেন? এখানে পাঁচটি লক্ষণ দেয়া হল-
(১) হার্ভার্ড হেলথের মতে, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি উভয়ই হাড়কে শক্তিশালী রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাড়ের ঘনত্ব কমে গেলে স্ট্রেস ফ্র্যাকচার দেখা দেয়। হাড়ের গঠনের জন্য ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং পরবর্তীতে এটি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে অর্ধেকের মত রুগী স্ট্রেস ফ্র্যাকচারে ভুগছেন যাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অপর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।
(২) শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাবের একটি লক্ষণ হল দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা। গত এক দশক ধরে, এক দল ডাক্তার শরীরে ভিটামিন ডি এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার মধ্যে সম্ভাব্য সম্পর্কের তথ্য নিতে শুরু করেছেন।
(৩) যদি আপনি সব সময় অসুস্থ বোধ করেন বা অসুস্থ হয়ে পড়েন তবে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কম। ভিটামিন ডি-এর অপর্যাপ্ততার কারণে আপনার শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে।
(৪) চুল পড়া, ভিটামিন ডি-এর অভাবের আর একটি লক্ষণ। ডাক্তারদের মতে প্রতিদিন ১০০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু এর থেকে বেশি হলে বুঝতে হবে শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন ডি চুলের বীজকোষ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(৫) বিষণ্নতা আর একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। গবেষণা বলছে যে ভিটামিন ডি এবং বিষণ্নতার মধ্যে একটি গভীর সংযোগ রয়েছে। তাই যখনি সকালে সূর্যের আলোয় বের হন তখন শরীর ভিটামিন ডি শোষণ করে এবং বিষণ্ণতা দূর করে মনকে সতেজ করে।