September 17, 2024
ইসলাম ডেস্ক : সৌদি দূতাবাস রোববার পর্যন্ত বাংলাদেশী হজযাত্রীদের ভিসার আবেদন গ্রহণের সময় বৃদ্ধি করেছে।
হজ ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম গতকাল বাসসকে বলেন, ‘সৌদি দূতাবাস রোববার পর্যন্ত আমাদের ভিসা গ্রহণের সময় বৃদ্ধি করেছে’।
১৭ আগস্ট ছিল ভিসা আবেদন জমা দেয়ার শেষ দিন। কিন্তু ওই শেষ সময় পর্যন্ত ৫ হাজার হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করা হয়নি।
সাইফুল ইসলাম জানান ‘গতকাল আমরা অনেক আবেদন পেয়েছি। আজ অধিকাংশ আবেদন জমা দেয়া সম্ভব হবে’।
তিনি বলেন, এর আগে ধর্ম মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে সোমবার পর্যন্ত ভিসার আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির অনুরোধ জানায়। এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৭৩ জন ভিসা পেয়েছেন। এরমধ্যে ৭৩ হাজার ৪৫ জন সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
বিমান বাংলাদেশ ২৬ আগস্ট এবং সৌদি এয়ারলাইন্স ২৭ আগস্ট পর্যন্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। বাসস
স্পোর্টস ডেস্ক :হজযাত্রী সংকটের কারণে আজ শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের বিজি- ৯০৭৭ ফ্লাইটটি স্থগিত করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফ্লাইটটির নতুন সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টায়। তবে এ দিন নিয়মিত ফ্লাইটের বাইরে অতিরিক্ত আরও তিনটি ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়বে বলে জানা গেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হজযাত্রী সংকটের কারণে বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার বিমান ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সে মোট ১২টি ফ্লাইট রয়েছে। এর মধ্যে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা চারটি।
সূত্র আরো জানায়, আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিমানের ৩টি ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ১টিসহ মোট ৪টি ফ্লাইট যাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর শুরুর দিকে পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় গত ২৭ দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৪টি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। জনকন্ঠ
প্রতিবেদক : আনাস বিন মালেক রা. একটা ঘটনা স্মরণ করে কাঁদতেন। উমর রা. এর খেলাফতকাল। পারস্যের সাথে যুদ্ধ। বিখ্যাত এক শহরের নাম তসতুর। সুরক্ষিত এক দূর্গ। মুসলমানরা গোটা দেড় বছর এ শহর অবরোধ করে রেখেছিল। তারপর আল্লাহ বিজয় দান করলেন। কঠিনতম এক যুদ্ধ ছিল।
দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও দূর্গের প্রধান ফটক কবজা করা যাচ্ছিল না। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ফজরের নামাযের ঠিক আগ মুহূর্তে সদর দরজা দখল হলো। জোয়ারের পানির মতো ত্রিশ হাজার মুজাহিদ শহরে ঢুকে পড়ল। প্রতিপক্ষ দেড় লক্ষ। নজিরবিহীন লড়াই হলো। মুসলমানদের জন্য ছিল খুব ঝুঁকিপূর্ণূ। দেড়লক্ষ মরিয়া সৈন্যের বিরুদ্ধে , চারদেয়ালের মধ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া চরম ঝুঁকির একটা কাজ। পা-জমিয়ে রাখা কঠিন ছিল।
বিজয় সম্পন্ন হতে হতে সূর্য উঠে গিয়েছিল। ফজর নামায কাজা হয়ে গেল। সঙ্গীন পরিস্থিতিতে ‘সালাতুল খাওফ’ পড়াও সম্ভব ছিল না। আনাস রা. কেঁদে ফেললেন। জীবনে এই প্রথম তাঁর নামায কাজা হলো।
একজন বলল, আপনি তো মাজুর। জিহাদের মতো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ইচ্ছা করলেও তো নামায পড়া সম্ভভ ছিল না। শহরের প্রতিটি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে শত্রু গিজগিজ করছিল ।
হযরত আনাস বললেন, জিহাদ তো জিহাদের যায়গায় আছে। কিন্তু এই ওয়াক্ত নামাযের জন্য তো আমি দুনিয়ার সবকিছু ত্যাগ করতে পারি।
ঘটনার শিক্ষা
সাহাবায়ে কেরামের বিজয়ের গোপন চাবিকাঠি এখানেই। জিহাদের ময়দানে, অসম্ভব অবস্থায় নামায কাজা করার বিধান আছে! তবুও তাদের এক ওয়াক্ত নামাযের আকুতি।
শুধু কি নামায ! তারা তো তাকবিরে উলাও ছুটতে দিতে নারায ছিলেন। তারা আসলে নামাযের ভালোবাসার মধ্যে বেড়ে উঠে ছিলেন। ছেলেবেলা থেকেই নামাযের ভালোবাসা মনে না বসলে , বড় হলে খুব কষ্ট হয়। সহজে নামাযে মতি হয় না। উন্নতমানের নামাযও পড়া হয়ে ওঠে না। দায়সারা গোছের কিছু হয়।
ছেলেবেলাতেই নামাযের ফযিলত শিখিয়ে দেওয়া। ইসলামে নামাযের গুরুত্ব কেমন তা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া। নামায না পড়লে আখিরাতের শাস্তিগুলোর কথাও জানিয়ে দেওয়া। পুরস্কার তিরস্কার উভয় ভাষায় ব্যবহার করা। সাতবছর থেকেই নামাযে যত্নবান হওয়ার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ না দিলে, পরবর্তীতে সেটা কঠিন হয়ে যায়। হাদিস মানার মধ্যে বরকত। হাদিসের শিক্ষা হলো, সাত থেকেই সন্তানকে নামাযের প্রতি দাওয়াত দেওয়া শুরু করতে হবে।
জীবনের সবক্ষেত্রেই সফল হতে, নামাযের বিকল্প নাই। সাহাবায়ে কেরামের এটাই ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ওমর শাহ : আনাস বিন মালেক রা. একটা ঘটনা স্মরণ করে কাঁদতেন। উমর রা. এর খেলাফতকাল। পারস্যের সাথে যুদ্ধ। বিখ্যাত এক শহরের নাম তসতুর। সুরক্ষিত এক দূর্গ। মুসলমানরা গোটা দেড় বছর এ শহর অবরোধ করে রেখেছিল। তারপর আল্লাহ বিজয় দান করলেন। কঠিনতম এক যুদ্ধ ছিল।
দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও দূর্গের প্রধান ফটক কবজা করা যাচ্ছিল না। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ফজরের নামাযের ঠিক আগ মুহূর্তে সদর দরজা দখল হলো। জোয়ারের পানির মতো ত্রিশ হাজার মুজাহিদ শহরে ঢুকে পড়ল। প্রতিপক্ষ দেড় লক্ষ। নজিরবিহীন লড়াই হলো। মুসলমানদের জন্য ছিল খুব ঝুঁকিপূর্ণূ। দেড়লক্ষ মরিয়া সৈন্যের বিরুদ্ধে , চারদেয়ালের মধ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া চরম ঝুঁকির একটা কাজ। পা-জমিয়ে রাখা কঠিন ছিল।
বিজয় সম্পন্ন হতে হতে সূর্য উঠে গিয়েছিল। ফজর নামায কাজা হয়ে গেল। সঙ্গীন পরিস্থিতিতে ‘সালাতুল খাওফ’ পড়াও সম্ভব ছিল না। আনাস রা. কেঁদে ফেললেন। জীবনে এই প্রথম তাঁর নামায কাজা হলো।
একজন বলল, আপনি তো মাজুর। জিহাদের মতো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ইচ্ছা করলেও তো নামায পড়া সম্ভভ ছিল না। শহরের প্রতিটি ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে শত্রু গিজগিজ করছিল ।
হযরত আনাস বললেন, জিহাদ তো জিহাদের যায়গায় আছে। কিন্তু এই ওয়াক্ত নামাযের জন্য তো আমি দুনিয়ার সবকিছু ত্যাগ করতে পারি।
ঘটনার শিক্ষা
সাহাবায়ে কেরামের বিজয়ের গোপন চাবিকাঠি এখানেই। জিহাদের ময়দানে, অসম্ভব অবস্থায় নামায কাজা করার বিধান আছে! তবুও তাদের এক ওয়াক্ত নামাযের আকুতি।
শুধু কি নামায ! তারা তো তাকবিরে উলাও ছুটতে দিতে নারায ছিলেন। তারা আসলে নামাযের ভালোবাসার মধ্যে বেড়ে উঠে ছিলেন। ছেলেবেলা থেকেই নামাযের ভালোবাসা মনে না বসলে , বড় হলে খুব কষ্ট হয়। সহজে নামাযে মতি হয় না। উন্নতমানের নামাযও পড়া হয়ে ওঠে না। দায়সারা গোছের কিছু হয়।
ছেলেবেলাতেই নামাযের ফযিলত শিখিয়ে দেওয়া। ইসলামে নামাযের গুরুত্ব কেমন তা সহজ ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া। নামায না পড়লে আখিরাতের শাস্তিগুলোর কথাও জানিয়ে দেওয়া। পুরস্কার তিরস্কার উভয় ভাষায় ব্যবহার করা। সাতবছর থেকেই নামাযে যত্নবান হওয়ার ব্যাপারে প্রশিক্ষণ না দিলে, পরবর্তীতে সেটা কঠিন হয়ে যায়। হাদিস মানার মধ্যে বরকত। হাদিসের শিক্ষা হলো, সাত থেকেই সন্তানকে নামাযের প্রতি দাওয়াত দেওয়া শুরু করতে হবে।
জীবনের সবক্ষেত্রেই সফল হতে, নামাযের বিকল্প নাই। সাহাবায়ে কেরামের এটাই ছিল অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবের একটি আদালত দেশটির সরকারের সমালোচনা করার দায়ে একজন শিয়া আলেমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
রিয়াদের ফৌজদারি আদালত কথিত উস্কানিমূলক পদক্ষেপ, রাজতান্ত্রিক সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা এবং রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি সমর্থন ঘোষণার অভিযোগে শেখ হুসেইন আর-রাজিকে ওই দণ্ড দিয়েছে।
সৌদি আরবের মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই দণ্ডকে ‘অন্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শেখ হুসেইন আর-রাজি এর আগেও সরকারের নিপীড়নমূলক পদক্ষেপের সমালোচনা এবং শেখ নিমর আল-
নিমরের মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা জানানোর কারণে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে আলে সৌদ সরকার শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
এ ছাড়া, শেখ আর-রাজি ইয়েমেনের নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত সৌদি আগ্রাসনের সমালোচনা করে ওই হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
সূত্র : পার্সটুডে
ইসলামী প্রতিবেদক : আইয়ামে জাহেলিয়াত। আরব তথা সমগ্র বিশ্ব এক গাঢ় আধ্যাত্মিক তমসায় আচ্ছন্ন ছিলো। হত্যা, লুণ্ঠন, মিথ্যা, পাপাচার ও অন্যায় অবিচারে ভরপুর ছিলো সমগ্র আরব উপদ্বীপ। আঁধারে নিমজ্জিত ছিলো চারদিক। শোষণ, অত্যাচার আর নারী নির্যাতনের মোহড়া চলতো যখন তখন। জীবন্ত প্রোথিত হত অসহায় মা বোনেরা। অভিশাপ মনে করা হতো নারী জাতিদের। এমন দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে যুগযুগান্তরের সেই অন্ধকার ভেদ করে আলোর রশ্মি ফুটে ওঠলো আরবের ঊষর মরুভ‚মির বুকে। মহাসঙ্কট ও নৈরাশ্যজনক পরিবেশের কোনো এক প্রসন্ন প্রভাতে সত্য, প্রেম, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য, সৌহার্দ্য ও ন্যায়ের উজ্জ্বলতার ভাস্বর এক আলোর প্রদীপ জ্বলে ওঠলো। এক মহামানবের আগমন বার্তা বহন করে আনলো ক্ষমতাসীন পারস্য সা¤্রাজ্যের শোষণ নির্যাতনের সকল অগ্নিশিখার মরু সাইমুমের প্রলয় মাতম। ঘোষিত হলো, শতসহস্র বছরের শোষণ-শাসনের নরককুণ্ড থেকে নির্যাতিত মানবাত্মার চিরমুক্তি তথা সাম্য, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ের আহ্বান।
দুনিয়ার নিবিড়তম অন্ধকারে জন্মগ্রহণ করেও বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করলেন। সাহায্যহীন, বন্ধু-বান্ধবহীন, শত্রæ কর্তৃক পরিবেষ্টিত অশিক্ষিত অসভ্য জাতির ভেতর দিয়ে জীবন প্রতিপালিত, তবুও তিনি চিরকালের নবারুনের মতো উদিত হয়ে ভ্রাতৃত্ব ও ন্যায়ের মহান আদর্শ দ্বারা নিখিল জাহান থেকে অন্যায়, আত্মকলহ ও নারী নির্যাতন দূরীভ‚ত করে প্রজ্বলিত করলেন ধর্মের বিমলজ্যোতি। গড়ে তুললেন ন্যায়, সাম্য ও ঐক্যের অনুপম উজ্জ্বল বন্ধন হেরার রাজ তোরণ।
তিনি আর কেউ নন, আমাদের প্রিয়নবী মহানবী বিশ্ব জাহানের রহমত স্বরূপ মুহাম্মদ (সা.)। রাসুলের আগমনে নারীরা ফিরে পায় তার সম্মান। মুক্ত হয় নির্যাতনের কালো ছায়া। দিয়েছেন তাদের যথার্থ সম্মান আর মর্যাদা। বোন পেয়েছে ভাই, মা পেয়েছে সন্তান, স্ত্রী পেয়েছে তার জীবন চলার মাধ্যম। মহানবী (সা.) নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ঘোষণা দেন, ‘সাবধান! তোমরা মেয়েদের প্রতি সদ্ব্যবহার করো, কেননা তারা তোমাদের তত্তবধানে রয়েছেন। সাবধান! তোমাদের স্ত্রীদের উপর তোমাদের অধিকার যেমন অধিকার রয়েছে তেমনি তোমাদের উপরও রয়েছে তাদের অনুরূপ অধিকার। পুরুষ তার পরিবার-পরিজনের রক্ষক এবং স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের এবং সন্তানদের রক্ষণাবেক্ষণকারী।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ২৭৬) মানবসভ্যতা ও ধর্মের ইতিহাসে এ প্রথম নারী ন্যায্য সম্পত্তি পাওয়ার এবং রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার পেলো। মহানবী (সা.) নারীদের তাদের পছন্দনীয় স্বামী গ্রহণের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। কন্যা সন্তান হত্যা নিষিদ্ধ করে দেন। উপরন্তু কন্যা, মেয়ে, বোন লালন-পালনকারীদের জান্নাত লাভের সুসংবাদ দেন। পারিবারিক শান্তি ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঘোষণা দেন। ‘মা তোমাদের জন্য জান্নাত স্বরূপ’।
কিন্তু আফসোসের সঙ্গে বলতে হয়, নারীজাতি আজ নিজেদের সম্মান ভুলে গিয়ে পথেঘাটে রাস্তার আনাচকানাচে অর্ধ উলঙ্গ হয়ে চলাফেরায় মত্ত। নির্যাতন আর ধর্ষণের যাবতীয় প্রারম্ভিকা শুরু হয় তাদের আঁটসাঁট কাপড় দেখে। অথচ পবিত্র কুরআনে
মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘হে বনী আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবার ও বেশভ‚ষা জন্য আমি তোমাদের পরিচ্ছদ দিয়েছি। আর তাকওয়া পরিচ্ছদই তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট পরিচ্ছদ। (সুরা আরাফ: ২৬) তাফসিরবিদ এবং মুফতিয়ানে কেরাম বলেন, পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। মহিলাদের সতর হলো, আপাদমস্তক অর্থাৎ পুরো শরীর। সুতরাং মহিলাদের শরীরের কোনো অংশ খোলে রাখার অবকাশ নেই। নারীজাতি যদি হারানো সেই সম্মান ফিরাতে চায়, তাহলে ইসলামের অনুশাসন ছাড়া ভিন্ন কোনো পথ নেই। সবিশেষ বলবো, নারী নির্যাতন আর ধর্ষকের পেছনে চালিকাশক্তি থাকে উভয়ের। তাই পুরুষ ও মহিলাজাতি যখন উভয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়া আশ্রয় নিবে, ঠিক তখনই সমাজ থেকে সবধরণের অশ্লীল ও অপকর্ম দূরীভ‚ত হবে ইনশাআল্লাহ।
ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি বছর পবিত্র হজব্রত পালন করতে সৌদি আরব এসে আরও ৪ বাংলাদেশি মারা গেছেন। এনিয়ে এ ২০১৭সালে এপর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৭ এ। সবশেষ মারা যাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন, বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার মোঃ আব্দুস সামাদ (৬১) পাসপোর্ট নাম্বার BN0989021, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ফুলমিয়া মন্ডল (৬৩) পাসপোর্ট নাম্বার BM0491657, চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাদশা হোসেন (৭৫) পাসপোর্ট নং BM0865909 এবং নাটোর উপজেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার জাহাঙ্গীর কামাল (৬৫) পাসপোর্ট নং BK0393639।
চলতি বছর ৬৩৫টি এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোট ১লাখ ২৭হাজার ১৯৮জন বাংলাদেশির হজ পালনের কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০হাজারের বেশী বাংলাদেশি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। সৌদি আরবে আগত মুসুল্লীরা মক্কা এবং মদীনায় ইবাদত বন্দেগীতে সময় কাটাচ্ছেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট : বাতিল হওয়া হজ ফ্লাইটের যাত্রীরা আজ থেকে যেতে পারবেন মক্কায়। গতকাল রবিবার বিমানের চারটি হজ ফ্লাইটের মধ্যে ৩টিই যথা সময়ে জেদ্দার উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
জানা যায়, হজক্যাম্পে অবস্থান করা বেশিরভাগ হজযাত্রী সকালে ক্যাম্পে আসলে বিকেলের মধ্যেই ফ্লাইট পাচ্ছে। আর রিসিডিউলিং করা ফ্লাইটগুলোর হজযাত্রীদের আগেভাগে জানিয়ে দেয়ায় তাদের হজক্যাম্পে এসে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
এদিকে বিমানের ১৪টি এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের চারটি হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হজযাত্রী আটকা পড়েছে। এদের পরিবহন করতে বিমান অতিরিক্ত ১২টি স্লটের জন্য জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই বিমানের হজ ফ্লাইট শুরুর পর থেকে ই-ভিসা জটিলতা আর যাত্রী সংকটের কারণে সবমিলে বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৮টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট পৌঁছে ২৪ জুলাই। শেষ ফ্লাইট যাবে ২৮ আগস্ট।
ইসলামি ডেস্ক : আজান হলো নামাজের জন্য মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান। আজান শুনার মাধ্যমেই মানুষ নামাজের দিকে দ্রুত ধাবিত হয়। আজানের কারণেই কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবার চেয়ে লম্বা হবে।
মুয়াজ্জিনের আজান শুনার পর তার উত্তর দেয়ার পাশাপাশি দরূদ ও দোয়া করায় রয়েছে অনেক ফজিলত। হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আজানের উত্তর দেয়ার পর দরূদ পাঠ এবং দোয়ার ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাও, তখন তার অনুরূপ বল।
অতঃপর আমার প্রতি দরূদ পাঠ কর। কারণ যে আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে; আল্লাহ তাআলা তার বদলে তার প্রতি দশবার রহমত নাজিল করবেন।
তারপর আল্লাহর নিকট আমার জন্য অসিলা চাও; কারণ অসিলা হচ্ছে জান্নাতের একটি স্থান যা আল্লাহর একজন বান্দা ছাড়া আর কারো জন্য প্রযোজ্য নয়।
আশা করি আমিই সেই ব্যক্তি। আর যে আমার জন্য অসিলা চায়, তার জন্য শাফায়াত হালাল হয়ে যায়। (মুসলিম)
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে জানা যায়, মুয়াজ্জিনের আজানের উত্তর দেয়া সুন্নাত। অতঃপর দরূদ পাঠ করা সুন্নাত এবং ফজিলতপূর্ণ ইবাদতও বটে। আর সুন্নাতের আমলই মানুষকে পরকালে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফায়াত লাভের উপায়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে নির্দেশিত পন্থায় আজানের উত্তর এবং দরূদ পাঠ করার তাওফিক দান করুন। হাশরের ময়দানে উম্মতে মুহাম্মাদিকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফায়াত নসিব করুন।
আমাদের সময়ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে অংশ না নিয়েও রাজনৈতিকভাবে সমর্থন জানাতে ক্ষমতাসীনদের পাশে থাকতে চায় ছোট ছোট কয়েকটি ইসলামি দল। দৃশ্যত নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক বাড়ানোর চিন্তা থাকলেও কার্যত যেকোনও উপায়ে নৌকা মার্কার ফল ভোগ করতে চায় এই দলগুলো। এদের মধ্যে একাধিক দলের নিবন্ধন না থাকায় নিবন্ধন করা, নির্বাচনের প্রার্থিতা নিশ্চিত করা, সরকারি ধর্মীয় কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ নেওয়া এবং রাজনৈতিকভাবে আলোচনায় থাকতে নৌকার পক্ষে থাকার কৌশল নিচ্ছে ধর্মভিত্তিক অন্তত ছয় থেকে আটটি দল।
জানা গেছে, গত এক বছরের বেশি সময় ধরেই কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট করার চেষ্টা করছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল। বাংলা ট্রিবিউনে এ নিয়ে ‘তরিকতের নেতৃত্বে আসছে নতুন ইসলামি জোট!’ শিরোনামে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
এম এ আউয়ালের প্রচেষ্টা কিছুটা ঢিমেতালে হওয়ায় গত ছয় মাসে আওয়ামী লীগের কাছে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরী ও গণতান্ত্রিক ইসলামী মুভমেন্টের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাদের উদ্যোগে সাড়া দেয় কয়েকটি সংগঠন। এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খানও ছিলেন বলে প্রচার হয়। যদিও জাফরুল্লাহ খান এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, মিসবাউর রহমান ও নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার বৈঠক হলেও কোনও জোট হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘জোট হলে বৃহত্তর স্বার্থে জোট হবে, সেই জোটে আমরা যাব।’
জানা গেছে, এম এ আউয়ালের উদ্যোগে মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সাবেক ছাত্র মজলিস সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সাবেক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাও আছেন। তরিকতের মহাসচিব তার উদ্যোগকে সফল করতে এরই মধ্যে মিসবাহুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। চলতি বছরের শুরুতে এই জোট হওয়ার কথা থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের সরাসরি সাড়া না পাওয়ায় এখনও জোটের প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি মিসবাহুর রহমানের সঙ্গে আটটি দলের বৈঠক হলেও আদতে তরিকত, খেলাফত আন্দোলন, ইমাম-ওলামা পরিষদসহ একটি বড় জোট করতে চান এম আউয়াল এমপি। এরই মধ্যে তারা কয়েকটি সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন বলেও সরকারের একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়।
জোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগ ইসলামি ভাবধারার বিরুদ্ধে— এমন অভিযোগ প্রচলিত থাকলেও এই দলগুলো আগামী নির্বাচনে এর বিপরীত চিত্র দেখাতে চায়। ইসলামি দলগুলোও আওয়ামী লীগের পক্ষে— সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন বার্তা পৌঁছে দিতে চান এসব দলের নেতারা।
উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগকে নিয়ে একটি ভুল ধারণা ছিল। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখেছি ও অনুভব করেছি, ইসলামের জন্য ও আলেম ওলামাদের কর্মসংস্থানের আওয়ামী লীগ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, গত ৫০ বছরে এমন পদক্ষেপ কেউ নেয়নি।’
পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে এম এ আউয়াল ও মিসবাহুর রহমান সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ বিষয়ে এম এ আউয়াল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে একটি ইসলামি জোট করা সময়ের দাবি। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি।’
সূত্র জানায়, ইসলামি জোট করার নেপথ্যে আগামী নির্বাচনে প্রার্থিতা নিশ্চিত করা, অনিবন্ধিত দলগুলোর নিবন্ধন করানো এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো কাজ করছে। পাশাপাশি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে মাদ্রাসা কোর্স চালু এবং সারাদেশে মসজিদ নির্মাণ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। ওই সব প্রকল্পে আলেমদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও সূত্রের দাবি।
মিসবাউর রহমানের বক্তব্যেও এমন ইঙ্গিত মিলেছে। তবে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘জোট করার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি। বলার মতো কোনও খবর নেই। গত সপ্তাহে পুরাতন বন্ধু-বান্ধব এসেছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এটি নিয়ে নিউজ হলেও ওই ধরনের কোনও জোট এখনও নিশ্চিত নয়।’
মিসবাহুর রহমান আরও বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গেই আছি। যারা এসেছিলেন, তাদের অনেকেই আগে ২০ দলীয় জোটে ছিলেন।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সদস্য মিসবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এরই মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন দারুল আরকাম নামে প্রকল্প চালু করেছে। আশা করি, আগামীতে দেশের সবগুলো মসজিদে এই প্রকল্প চালু করতে পারব।’
মিসবাউর রহমান জানান, সরকারিভাবে দেশের প্রতিটি জেলায় দুইটি ও উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। এতে অর্থ সহযোগিতা করছে সৌদি আরব। সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ চলছে, অনেকে জমি দানও করছেন।
এ বিষয়ে গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্টের নুরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আলোচনা চলছে, এখনও অব্যাহত আছে। কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি।’
জানতে চাইলে মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আগে জোট নিয়ে বিভিন্ন কথাই ছড়িয়ে পড়ে। চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি।’
তবে প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, জোট গঠনের বিষয়ে এখনও আওয়ামী লীগের কোনও সিগন্যাল পাননি উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রে জোট একটি নাকি দু’টি হবে, নাকি শুধুমাত্র কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলগুলোকে নিয়েই জোট হবে— এসব বিষয় এখনও স্পষ্ট হয়নি। সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জোটের বিষয়ে ক্ষমতাসীনরা জোট করার সম্মতি দেবে বলেও সূত্রের দাবি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ আউয়াল বলেন, ‘জোট হবে রাজনৈতিক কারণে। রাজনৈতিক আবেদন থাকলে কার্যকর জোট হবে। এখানে অন্য কোনও স্বার্থ নেই।’
সূত্র জানায়, খেলাফত আন্দোলন, ইমাম-ওলামা পরিষদ, গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভেমন্ট, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলসহ অনেক দলেরই নিবন্ধন নেই। এছাড়া এই দলগুলোর দায়িত্বশীলদের নির্বাচনের চেয়ে দলের নিবন্ধন নিয়েই বেশি চিন্তা বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে জোটভুক্ত দলগুলোর নৌকাঘেঁষা রাজনীতির অন্যতম প্রধান কারণ কোনও না কোনোভাবেই নিজেদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া।
মাওলানা জাফরুল্লাহ খান বলেন, ‘নিবন্ধন না থাকলে নিবন্ধন করাই তো নিয়ম। এখানে তো প্রত্যাশার কিছু্ নেই। নিয়ম মেনে রাজনীতি করলে নিবন্ধন কেন পাব না?’
নিবন্ধনের চিন্তা আরও পরে বলে জানান ইমাম-ওলামা পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা রুহুল আমীন সাদী। তিনি বলেন, ‘আগে দল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, এরপর নিবন্ধন।’
সূত্র : বাংলাট্রিবিউন।
ডেস্ক রিপোর্ট : ভিসা ও অন্যান্য কারণে হজ ফ্লাইট জটিলতা দু-একদিনের মধ্যে সমাধান না হলে আরও সমস্যা দাঁড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আর সমস্যা সমাধানে তিনটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলছেন, আশা করছি সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হব। আজ বুধবার সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিমানমন্ত্রী।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এ পর্যন্ত ১২টি এবং সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের তিনটি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এতে বিমানের ক্যাপাসিটি লস হয়েছে ৫৩৮০ জন এবং সৌদি অ্যারাবিয়ানের লস হয়েছে ১২০০ জন।
তিনি বলেন, বিমানের ক্ষেত্রে পরিকল্পনার সময় লস হতে পারে তা মাথায় রেখে অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। কিন্তু আজ-কালের মধ্যে বিষয়গুলো সমাধান না হয়, তখন এটা একটা সমস্যা দাঁড়িয়ে যাবে।
সমস্যা এড়াতে সম্ভাব্য ব্যবস্থা তিনটি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, হাজিদের ভিসা না করলে ভিসা করা এবং তা করা হয়ে গেলে ফ্লাইট নেওয়ার জন্য বলা হবে। ফ্লাইট না নিলে যাওয়া নিয়ে অসুবিধা হতে পারে। সবার কাছে টেক্সট মেসেজ পাঠানো হচ্ছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশনের অনুমোদনসাপেক্ষে বিমানের পক্ষ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের জন্য স্লট বৃদ্ধির আবেদন করা হবে। তাদের পক্ষে সম্ভব না হলে সরকারের পক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করা হতে পারে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বলেছি, শিডিউল ফ্লাইট যেগুলো যাচ্ছে সেই ফ্লাইটে অন্য যাত্রী বাদ দিয়ে হজযাত্রী বহন করা। এ ছাড়া আর কোনো পথ আমার জন্য খোলা নেই। এটা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সও করছে বিমানও করছে। তারা শিডিউল ফ্লাইট অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে।