March 28, 2024
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপে নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন খসড়া প্রস্তাবকে সমর্থন দেয়ায় শনিবার চীন ও রাশিয়ার প্রশংসা করেছেন।
খবর এএফপি’র।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে চীন ও রাশিয়ার সহযোগিতা ও সমর্থনের প্রশংসা করেন ।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে শনিবার সর্বসম্মতভাবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবরোধ আরোপ সম্পর্কিত প্রস্তাব পাশের পর হোয়াইট হাউস থেকে বিবৃতিটি দেয়া হল। বাসস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সর্বসম্মত এক সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে আরো কিছু অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
নতুন এসব ব্যবস্থার ফলে দেশটির কয়লা এবং লোহা রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। টাকার অংকে এই ক্ষতির পরিমাণ প্রতিবছর শত কোটি ডলারেরও বেশি ।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এই সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়ার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটিতে বিনিয়োগের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। নগদ অর্থ আয়ের যে অল্প কিছু উপায় উত্তর কোরিয়ার রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চীনে কয়লা এবং অন্যান্য কাঁচামাল রপ্তানি।
ধারণা করা হয় উত্তর কোরিয়া বছরে সর্বমোট ৩০০ কোটি ডলারের রপ্তানি করে থাকে এবং নতুন অবরোধের ফলে তারা এক’শ কোটি ডলারের বাণিজ্য হারাতে পারে।
গত জুলাইতেই উত্তর কোরিয়া দুটি আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে এবং তারা দাবী করছে তাদের এসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।
সর্বসম্মতিক্রমে খসড়া প্রস্তাব পাশ হবার পর জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেন, এই ব্যবস্থাগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ তৈরি করবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভিটো ক্ষমতা থাকা স্বত্বেও উত্তর কোরিয়ার একমাত্র আন্তর্জাতিক মিত্র, চীন এবার এই প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দিয়েছে। যদিও এর আগে তারা বিভিন্ন সময় উত্তর কোরিয়ার জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন প্রস্তাবে ভিটো দিয়েছিল।
এবছরের শুরুর দিকে তারা পিয়ংইয়ংকে চাপ দেয়ার জন্য কয়লা আমদানিও স্থগিত করে।
জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়েয়ি উত্তর কোরিয়াকে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কমিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।
যদিও এর আগে বিভিন্ন অবরোধ আরোপ করেও উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা যায়নি। এমনকি নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের আগে পিয়ংইয়ং একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, তারা তাদের পারমানবিক অস্ত্রভাণ্ডার বৃদ্ধি করা অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: বিবিসি।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইয়েমেনে সৌদি আরবের পছন্দসই সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে দেশটির বিরুদ্ধে যে আগ্রাসন চলছে তাতে কলেরায় আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বে কোনো রোগে এত বিপুল সংখ্যক মানুষের আক্রান্ত হওয়ার দিক থেকে এটি রেকর্ড। সেভ দি চিলড্রেন চ্যারিটি গ্রুপ বলছে, ৩ মাস আগে কলেরা ছড়িয়ে যাওয়ার পর কলেরায় মারা গেছে ১৯’শ জন। ২০১১ সালে হাইতিতে কলেরায় ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হওয়ার রেকর্ড ইয়েমেন ভেঙ্গেছে।
ইয়েমেনে চলছে নীরব দুর্ভিক্ষ। অক্সফাম ইয়েমেনে কলেরায় আরো ব্যাপক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করে বলছে, ৬ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হতে পারে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ বলছে ইয়েমেনের ২৩টি প্রদেশের ২১টিতে কলেরা ছড়িয়ে পড়েছে। খাদ্য ও পুষ্টির তীব্র অভাব থেকে কলেরা ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত।
এক প্রতিবেদনে সেভ দি চিলড্রেন বলছে, অপুষ্টিতে ইয়েমেনের শিশুরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। কলেরায় আক্রান্ত হলে তারা সহজেই মারা যাচ্ছে যা সাধারণের চেয়ে ৩গুণ আশঙ্কাজনকহারে ঘটছে। দিনে মারা যাচ্ছে ২৮ জন শিশু কারণ এরা কলেরায় আক্রান্ত হওয়ার পর স্যালাইন কিংবা কোনো খাবার পাচ্ছে না।
গত ২৮ মাস ধরে ইয়েমেনের সরকার পতনে সৌদি আগ্রাসন চলছে। নির্বিচারে সৌদি যুদ্ধ বিমানের বোমা বর্ষণের আগে জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। গরিব এই দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে। সেভ দি চিলড্রেন জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীরা ইয়েমেনে গত এক বছর ধরে কোনো বেতন পাচ্ছেন না। অক্সফাম বলছে, কলেরা প্রতিরোধে ব্যাপক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থার মত কিছু ব্যবস্থা কলেরা থেকে ইয়েমেনে হাজার হাজার মানুষকে বাঁচাতে পারে।
আগ্রাসনের পাশাপাশি সৌদি অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞায় ইয়েমেনের সার্বিক পরিস্থিতি আরো গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ফলে ইয়েমেনের বন্দরগুলোতে রাজধানী সানা থেকে কোনো জরুরি ওষুধ ও খাদ্য নিয়ে জাহাজ ভিড়তে পারছে না। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর আউক লুতসমা বলেছেন, ত্রাণ পাঠাতে বিমান চলাচলে যে জালানি প্রয়োজন তার অনুমতি সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ মুহূর্তে ২৭ মিলিয়ন মানুষের জন্যে জরুরি ত্রাণ সহায়তা দরকার। দেশটির দুই তৃতীয়াংশ মানুষ জরুরি ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। সাড়ে ৪ মিলিয়ন শিশু ও গর্ভবর্তী নারী ও পুষ্টিহীনতায় ভোগা নারী যাদের পক্ষে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসা পাচ্ছে না ১৪ মিলিয়ন মানুষ।
২০১৫ সালে মার্চ থেকে সৌদি জোট ইয়েমেনে এধরনের অবরোধ ও আগ্রাসন শুরু করে। পদত্যাগ করে রিয়াদে পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট আবুদুল রাব্বু মানসুর হাদিকে পুনরায় ইয়েমেনের ক্ষমতায় বসাতে সৌদি জোট ইয়েমেনে আগ্রাসন ও অবরোধ চালিয়ে আসছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে আনসারুল্লাহ আন্দোলন। রাজধানী সানা সহ ইয়েমেনের অধিকাংশ এলাকা আসসারুল্লাহ আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এক দ্বৈতব্যবস্থায় খুবই সীমিত পর্যায়ে জাতিসংঘ জরুরি ত্রাণ সাহায্য চালু রাখছে যা চাহিদা ও প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। ফলে সৌদি আরব ইয়েমেনে সফল না হলেও আগ্রাসনে যেমন বোমাবর্ষণে মানুষ মরছে তেমনি নীরব দুর্ভিক্ষ ও কলেরায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ইয়েমেনে ১৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। লাখ লাখ মানুষ ঘর ছাড়া। ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর রেড ক্রস বলছে, ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছে ইয়েমেনে। এখন ২০ মিলিয়ন মানুষের জন্যে মানবিক সহায়তা দরকার।
তাবৎ মুসলিমের অভিভাবক ও পবিত্র দুই মসজিদের খাদেম বাদশাহ সালামান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌউদ কোনো আলোচনা নয়, জাতিসংঘের মধ্যস্ততা নয়, ইয়েমেনে পছন্দের সরকার বসাতে দেশটির একাংশের নিয়ন্ত্রণকারী ও পলাতক প্রেসিডেন্ট আবুদুল রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে এহেন আগ্রাসন ও অবরোধকেই বেছে নিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ন্যাটো আর রাশিয়ার স্নায়ুযুদ্ধ নতুন কিছু না। তবে দিন যতই যাচ্ছে তা ক্রমশই কঠিন হয়ে উঠছে। এমনটাই জানালেন উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা বা ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে ন্যাটো। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন স্টোলটেনবার্গ।
সম্পর্কের অচলাবস্থা তৈরির জন্য তিনি ইউক্রেনে রুশ হস্তক্ষেপকে দায়ী করে বলেন, ‘স্নায়ুযুদ্ধের পর আমরা আশা করেছিলাম যে, রাশিয়ার সঙ্গে আমরা ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলব। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে অবৈধভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে নেওয়ার পর মস্কো ও ন্যাটোর সম্পর্ক মারাত্মক খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে’। তিনি আরো দাবি করেন, রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা এড়িয়ে চলতে ন্যাটো জোট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মস্কোর সঙ্গে তারা প্রতিরোধ ও সংলাপের নীতি অনুসরণ করবেন।
এদিকে, সম্পর্ক খারাপ করার জন্য স্টোলটেনবার্গ রাশিয়াকে দায়ী করলেও মস্কো সবসময় বলে আসছে, ইউরোপের বহু দেশে ন্যাটোর সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে শুধুমাত্র রুশ সেনাদেরকে লক্ষ্য করে। সেক্ষেত্রে ন্যাটোর তৎপরতা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ তুলেছে মস্কো।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর যুদ্ধ পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় বিমান চালনা ক্ষমতা আরো বৃদ্ধির জন্যে আড়াই’শ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে। ইউএস ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের এক এ বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এ চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর যুদ্ধ পরিকল্পনায় অব্যাহত সহায়তা দেওয়া হবে। এর অংশ হিসেবে পুরো বিমান বাহিনীর পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার পাশাপাশি কি ধরনের যুদ্ধ বিমান প্রয়োজন তার কার্যকর পরিকল্পনা ও বিমানে লাগসই অস্ত্র ও আক্রমণ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন বিষয় হালনাগাদ করা হবে।
এ পরিকল্পনার সিংহভাগ বাস্তবায়ন করা হবে ইউথা’র হিল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি নাগাদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও। স্পুটনিক
আমাদের সময়ডটকম
ডেস্ক রিপোর্ট : হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮০ বছরের একটি রেকর্ড ভেঙে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো সংখ্যার দিক দিয়ে শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে গেলো অভিবাসী শিক্ষার্থীরা।
বোস্টন গেøাব-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, হার্ভার্ডে যে নতুন ব্যাচ ঢুকেছে তার ৫০.৮ শতাংশ শিক্ষার্থীই আমেরিকায় অভিবাসিত। গত বছর সংখ্যালঘু অভিবাসী শিক্ষার্থীদের এই সংখ্যাটি ছিলো ৪৭.৩ শতাংশ। এবারের অভিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২২.২ শতাংশই এশিয়ান, ১৪.৬ শতাংশ আফ্রো-আমেরিকান, ১১.৬ শতাংশ লাতিন আমেরিকান এবং ২.৫ শতাংশ রেড ইন্ডিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরাঞ্চলীয়।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইতোপূর্বে মার্কিন বিচার আদালতের নাগরিক অধিকার বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভর্তি নীতিমালা নিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। ওই বিভাগের পক্ষ থেকে শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে এই মর্মে অনুসন্ধান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। যদিও গত বুধবার এ প্রসঙ্গে মার্কিন বিচার বিভাগ আত্মপক্ষ সমর্থন করে।
ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ‘এই প্রক্রিয়াটি সুনির্দিষ্ট’। হার্ভার্ডের মুখপাত্র র্যাচেল ডেন গেøাব বলেন, ‘বিভিন্ন শ্রেণীভুক্ত ছাত্রদের তালিকাভুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রতিটি আবেদনকারীকে একজন সম্পূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং আমরা মার্কিন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আইনি মানদন্ডগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অনেকগুলি বিষয় পর্যালোচনা করি। টাইম
ডেস্ক রিপোর্ট : পাকিস্তানের নতুন মন্ত্রীসভার সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ইসলামাবাদ প্রেসিডেন্সিতে শপথ নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। খবর দ্য হিন্দুর।
মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট মামুন হুসেইন। নতুন মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই পুরনো। শুধু ৬ জন ফেডারেল এবং ১২ জন প্রতিমন্ত্রী নতুন এসেছেন। তবে কয়েকজন পুরনো মন্ত্রীর মন্ত্রণালয় অদলবদল করা হয়েছে।আগেই ধারণা করা হয়েছিল যে নওয়াজ শরিফের মন্ত্রীসভার রদবদল করবেন না খাকান আব্বাসী। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নওয়াজের মন্ত্রিসভায় যে মন্ত্রী যে পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের সে পদেই রাখা হবে। তবে অল্প কিছু পদে রদবদল হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।
খাকান আব্বাসির মন্ত্রীসভার সদস্য সংখ্যা নিয়ে মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে। পিটিভির খবরে জানানো হয়েছে, মন্ত্রিসভায় রয়েছেন ২৮ মন্ত্রী এবং ১৮ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী। অপরদিকে জিও টিভির খবর অনুযায়ী ২৮ মন্ত্রী এবং ১৯ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ে খাকান আব্বাসির মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছে।নতুন মন্ত্রীসভায় আহসান ইকবাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, খাজা মুহাম্মদ আসিফ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, খুররম দস্তগির প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পারভেজ মালিক বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দানিয়াল আজিজ, তালাল চৌধুরী, আরসাদ লেঘারি এবং জুনায়েদ আনোয়ার চৌধুরী মন্ত্রীসভার নতুন মুখ হিসেবে যোগ দিয়েছেন।পিএমএলএনের নেতা ইশাক দার অর্থমন্ত্রী হিসেবে আগের পদই ফিরে পেয়েছেন। অনুশা রহমান তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং আফজল তারার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই বহাল থাকলেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সৌদি জোটের অবরোধের মুখেই বিদেশিদের জন্য আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে কাতার। এখন বিদেশিরা চাইলে কাতারের স্থায়ী নাগরিক হতে পারবেন। দেশটিতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরাও সেই সুবিধা পাবেন।
কাতারের সরকারি বার্তা সংস্থা কিউএনএ জানিয়েছে, বুধবার মন্ত্রিপরিষদে বিলটি পাস হয়েছে। এতে করে সেখানে বসবাসরত হাজার হাজার বিদেশি স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে যাচ্ছেন।
নতুন এই আইনের ফলে যেসব শিশুর মা কাতারের নাগরিক এবং বাবা বিদেশি, তারাও সুবিধার আওতায় আসবেন। শিশুটির বাবা এখন চাইলে দেশটির নাগরিক হতে পারবেন। যারা কাতারে সরকারি চাকরি করছেন, তারাও এখন সেখানকার নাগরিক হয়ে যাবেন।
বার্তা সংস্থার খবর অনুযায়ী, কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যারা নাগরিকত্ব সুবিধা পাবেন, তারা আরও বেশ কিছু সুবিধার আওতায় অাসবেন। দেশটির অন্যান্য নাগরিকদের মতো তারাও সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তারাও বিনামূল্যে চিকিৎসা ও শিক্ষা নিতে পারবেন।
এমনকি সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে যেকোনো চাকরি করতে পারবেন। নিজেদের ব্যবসার মালিকানা নিজেদের নামেই থাকবে। ব্যবসা করার ক্ষেত্রেও কাতারের কোনো নাগরিকের অংশীদারিত্ব থাকার প্রয়োজন হবে না।
উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম কাতারেই এ ধরনের সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধার কথা ভাবাই যায় না। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে অাসলেও কয়েক মিলিয়ন লোক সেখানে বিদেশিই থেকে গেছেন।
তেলের দেশ কাতারের জনসংখ্যা দুই দশমিক চার মিলিয়ন; যাদের ৯০ শতাংশই বিদেশি নাগরিক। দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া লোকজনের সংখ্যাই বেশি। মূলত নির্মাণ শিল্পে কাজের জন্য দেশটিতে যান তারা।
সৌদি আরবের নেতৃত্বে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব অামিরাত। মুসলিম ব্রাদারহুডসহ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন পালনের অভিযোগে দেশগুলো দোহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ আরোপ করে।
কাতারের জন্য আকাশসীমা, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরও বন্ধ করে দেয় উপসাগরীয় এই চারটি দেশ। চলমান সংকটের মধ্যেই কাতার নিজেদের দেশে বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত জানাল।
সূত্র : সিয়াসাত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিলে স্বাক্ষর করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন এমন আইন মার্কিন সংবিধান পরিপন্থী। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই আইন পাশ করার জন্য কংগ্রেস অনেক অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকোর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প মনে করেন বৈদেশিক নীতিতে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতার উপর হস্তক্ষেপ করেছে কংগ্রেস। রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন করলেও কংগ্রেসের এমন বিষয় মেনে নিতে পারেননি ট্রাম্প।
বুধবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস সদস্যরা প্রায় সর্বসম্মতভাবে বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্পের অবশ্য এক্ষেত্রে অন্য কোনও ভালো বিকল্প ছিল না। কারণ বিলটি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের ভেটো আটকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সংখ্যক কংগ্রেসম্যানের সমর্থন পেয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের ঘটনা। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এসব ঘটনায় রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় মার্কিন কংগ্রেস।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই কংগ্রেস আমাদের ইউরোপের মিত্রদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইউক্রেন সংকট সমাধানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিক। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে আমাদের কোনও বন্ধু বা মিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হোক তা আমরা চাই না।’ এক পৃথক বিবৃতিতে ট্রাম্প তার প্রশাসনের বৈদেশিক নীতি ও অবস্থান সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, সমস্যা থাকার পরও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে তিনি বিলটিতে সাক্ষর করেছেন। ইরান ও উত্তর কোরিয়াকে ‘উগ্র’ রাষ্ট্র হিসেবে দেখলেও রাশিয়াকে এমন মনে করেনা ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে মার্কিন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করলেও সেটা মেনে নেবে না বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করলে আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করবো।’
এরপর আবারও কংগ্রেস নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, এই বিলে অনেক ভুল রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই সব সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছে। অথচ সাত বছর আলোচনা করেও স্বাস্থ্যবিল নিয়ে কিছু করতে পারেনি না।’ নিজে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি প্রতিষ্ঠার কারণেই মানুষ তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে দাবি করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কংগ্রেসের চেয়ে আমি অনেক ভালো সমঝোতায় আসতে পারবো।’
তার এই বিবৃতিতে ক্যাপিটল হিলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব কর্কার বলেন, তিনি ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ার উদ্বিগ্ন নন। তিনি বলেন, ‘দুই দেশই সবার সামনে একভাবে কথা বলেন আর আড়ালে অন্যরকম। কিন্তু এমন পদক্ষেপ নিতে পারে আমরা খুশি।’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের ২১টি দেশ যাদের অধিকাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র, এসব দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ সাল থেকে তাদের দেশের ওপর আরো বেশি হুমকি ও প্রভাব বিস্তার করছে। ৩০টি জাতির এ ২১টি দেশের অন্তত ৪২ হাজার মানুষ মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চের এ জরিপে অংশ নেয়। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান মিত্র দেশ যেমন অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। ২১টি দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা বা অপছন্দ করার বিষয়টি গড়ে ১২ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্পেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২ ভাগ। তবে ভেনিজুয়েলা, গ্রিস , ভারত ও পোল্যান্ডে মার্কি অজনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। পিউ রিসার্চের এ জরিপে তথ্যে ৩ থেকে ৫ ভাগ মার্জিন ত্রুটি রয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোন বিষয়টিকে হুমকি বলে মনে করেন সে সম্পর্কে এ জরিপে নির্দিষ্ট কোনো প্রশ্ন ছিল না। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা এবং তার পূর্বসূরী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে ট্রাম্প অনেক কঠোর ও ধারনাতীত বলে অভিমত দিয়েছেন অধিকাংশ উত্তরদাতা। গত জুন মাসের শেষ দিকে পিউ রিসার্চ এ আন্তর্জাতিক জরিপটি পরিচালনা করে।
জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতা বা পছন্দ করার বিষয়টি গত বছর দেশটির বাইরে ৬৪ ভাগ থেকে হ্রাস পেয়ে নেমেছে ৪৯ ভাগে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশ্বে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আস্থা একই সময়ে ৬৪ ভাগ থেকে কমেছে ২২ ভাগে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মার্কিন জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি হ্রাস পেয়েছে। গত ৭০ বছর ধরে জাপান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ হিসেবে রয়েছে, সেই দেশে চীনের পরই যুক্তরাষ্ট্রকে এখন হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের ৬৪ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন চীন তাদের জন্যে সবচেয়ে বড় হুমকি এবং ৬২ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র চীনের মতই তাদের দেশের জন্যে হুমকি। দক্ষিণ কোরিয়ার ৮৩ ভাগ উত্তরদাতা চীনকে হুমকি মনে করলেও ৭০ ভাগ বলছেন তারা মার্কিনী বা ইয়াঙ্কিদের ভয় পায়। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায়র মার্কিন ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৬২ হাজারেরও বেশি সেনা রয়েছে।
তবে পিউ রিসার্চের এ জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি বলে মনে করা হয়েছে আইএস জঙ্গি এবং এরপরই হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এরপর নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে সাইবার এ্যাটাক ও বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বিশ্বের নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে অভিমত দিয়েছেন তারা।
তবে ৩০ জাতির এ জরিপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করছে তুরস্ক। তুরস্কেও ৭২ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর শক্তি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। স্পুটনিক