পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

টাইগার শিবিরে জয়ের সুবাস

ডেস্ক রিপোর্ট : অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই কমপক্ষে ৫ উইকেট তুলে নিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। লাঞ্চ থেকে ফিরেই বিপজ্জনক গ্লেন ম্যক্সওয়েলকে বোল্ড করে দেন সাকিব। ১৯৯ রানে অজিদের ৮ম উইকেটের পতন ঘটল। জয়ের জন্য অজিদের চাই ৬৬ রান; বাংলাদেশের ২ উইকেট।

জয়ের জন্য ১৫৬ রানের টার্গেট নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। সতর্ক শুরুর পর যথারীতি হাত খুলে মারতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। একসময় ১৫ চার ১ ছক্কায় ১২১ বলে তিন অংকে পৌঁছান তিনি। অজি সহ অধিনায়ককে ১১২ রানে এলবিডাব্লিউ করে দিনের প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। ভাঙে অধিনায়ক স্মিথের সঙ্গে তার ১৩০ রানের জুটি। সাকিবের তৃতীয় শিকার হলেন অজি ক্যাপ্টেন স্টিভেন স্মিথ। মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দী হয়ে ফিরলেন ৩৭ রান করা অজি দলপতি।

এরপর পিটার হ্যান্ডসকম্বকে (১৫) সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন তাইজুল ইসলাম। ২ ওভার পরেই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েডকে (৪) এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে চতুর্থ শিকার ধরেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। অজিদের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটান তাইজুল ইসলাম। অ্যাস্টন অ্যাগারকে (২) কট অ্যান্ড বোল্ড করে দেন তিনি। ম্যাচ হেলে পড়ে বাংলাদেশের দিকে। জয়ের ক্ষণ গননা শুরু হয়ে যায়।

এর আগে বাংলাদেশের দেওয়া ২৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল অজিরা। ম্যাট রেনশকে (৫) এলবিডাব্লিউ করে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারেই উসমান খাজাকে (১) তাইজুলের তালুবন্দী করান সাকিব।

Posted in খেলাধুলা | Comments Off on টাইগার শিবিরে জয়ের সুবাস

মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি জরুরি

অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন : রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতা এই যে আমরা আবার দেখলাম, তা তো নতুন কিছু নয়। সহিংসতাটা এর আগেও ছিল, বিশেষ করে গত বছরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বড় ধরনের আক্রমণের ঘটনা ঘটে। তখন মিয়ানমারের ৯জন পুলিশ সদস্য মারা গিয়েছিল এবং পাশাপাশি রোহিঙ্গা ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের সীমান্তের উপর প্রচ- চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এটার পরে আবার এক বছরের কম সময়ের মধ্যে আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এর মাধ্যমে একদিকে আমরা দেখছি যে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের কতগুলো শান্তি উদ্যোগ ছিল, বিশেষ করে জাতিসংঘের তৎপরতা আমরা লক্ষ্য করছিলাম, সেই তৎপরতার আরও গুরুত্ব বাড়তে পারে। অন্যদিকে বাংলাদেশ তার সীমান্তে যতই বাধারোপ করুক না কেন, যে ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন রোহিঙ্গাদের উপর চলছে, এর ফলে হয়তো পুরোপুরি সীমান্ত সুরক্ষা করা সম্ভব হবে না। ফলে বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের উপরে চাপ সৃষ্টি হবে এবং পাশাপাশি এই ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটা টানাপড়েন তৈরি হবে বা টানাপড়েনের এই সমস্যাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই অনেক ধরেই সম্পর্কটা চাপের মধ্যে আছে। অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে। সেখানে এটি আবার নতুন করে চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। আবার বাংলাদেশ সরকারের উপরে বহির্বিশ্ব থেকে তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার বিষয়টিও আসবে। এবং বাস্তবতা হচ্ছে দেশের ভেতরে এমনিতেই একধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে।

এবারের আক্রমণটি ছিল সহিংস। রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি তারা তাদের আক্রমণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। ফলে ওই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক গ্রুপগুলো তাদের যে লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে যে তৎপরতা চালাচ্ছে, ফলে এ ধরনের সহিংস কার্যক্রমের ফলে তাদের কার্যক্রম বাড়বে। ফলে আমরা একটি বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ছি। বিশেষ করে মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এবং রোহিঙ্গাদের ইতোমধ্যে ব্যাপক সংখ্যক বাংলাদেশে অবস্থানের কারণে এটি এখন আমাদের জন্য বড় রকমের নিরাপত্তা ঝুঁকি সামনে চলে আসছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের যে ন্যায্য অধিকার মিয়ানমারের ভেতরে, সেটির প্রতি বিশ্ব জনমত সৃষ্টি দরকার। যদিও আমরা জানি যে, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র তারা খুব একটা দায়িত্ব পালন করেনি। তবে এ ধরনের সহিংসতার ফলে হয়তো এ সমস্যার গুরুত্ব আরও অনুধাবন করতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ইতোমধ্যেই বলেছেন, যদি এ ধরনের সমস্যা সমাধান না করা হয় তাহলে সহিংসতা আরও বাড়তে পাড়ে। ঘটনাটি কিন্তু তাই ঘটছে। আমার মনে হয় মিয়ানমারের উপরে বহির্বিশ্বের চাপটা আরও বাড়ানো উচিত। এবং এ ধরনের সহিংসতার যে মূল কারণ সে কারণটি হচ্ছে যে মিয়ানমারের ১৯৮৩ সালের নাগরিত্ব আইন। এ আইনটি যদি তারা পরিবর্তন না করে এবং মিয়ানমারের জনগণ যদি তাদের নাগরিকত্ব স্বীকার না করে তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে না।

আমরা হয়তো রোহিঙ্গা সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা করব। এখানে দ্বিপাক্ষিক এবং কূটনৈতিক বিষয়। তবে রোহিঙ্গা সমস্যাকে যদি একটা মানসিক সমস্যা হিসেবে দেখি তাহলে তা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের যা করার দরকার তার কিছুই করছে না তারা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের উপর বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চাপ দেওয়া জরুরি। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আরও বেশি তৎপর হওয়া দরকার। বাংলাদেশকে আরও কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো প্রয়োজন। তার কিছুটা হয়তো আমরা দেখছিও। কিন্তু এটি আরও বাড়াতে হবে। সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত বিপন্ন রোহিঙ্গারা হয়তো কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশে ঢুকে যাবে। কিন্তু এমন একটি ধারণা যেন অতীতের মতো না হয়, ওখানে সহিংসতা হলে এখানে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে আসবে। তবে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মানবিক দিকটি মাথায় রাখতে হবে।

পরিচিতি: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন

Posted in আইন-আদালত, নির্বাচিত কলাম | Comments Off on মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি জরুরি

মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে নৌ ও রেলপথ সম্প্রসারণ করতে হবে

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম : দেশের তিন মহাসড়কে যানজট দিন দিন বাড়ছে। এর অনেকগুলো কারণ আছে। আমরা জানি, দুই ঈদের সময় অস্বাভাবিক রকমের বেশি যাত্রী চলাচল করে রাস্তাগুলোতে। সাধারণ যে যাত্রী পরিবহন বা যাত্রী সংখ্যা তার চেয়ে বহুগুণ বেশি যাত্রী চলাচল করে এই সময়ে। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ বাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচল করে। সাধারণ সময়ে সড়কের যে ধারণ ক্ষমতা সেই তুলনায় অনেক বেশি চাপ লক্ষ্য করা যায়। শুধু যাত্রীবাহী পরিবহনই নয়, বিশেষভাবে কুরবানির ঈদে কুরবানির পশুবাহী যানবাহন বিপুল সংখ্যায় চলাচল করে। এটা যানজটে একটা আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। এটা পৃথিবীর আর কোনো শহরে হয় বলে আমার জানা নেই। আমাদের মহাসড়কগুলো ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। সড়ক তো তৈরি করা হয় কিন্তু সেখানে উন্নতমানে তৈরি হয় না এটাও একটা কারণ। আবার এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার ফলে সমস্যাটা আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

আবহাওয়াজনিত কারণেও এই সমস্যাটা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকের চেয়ে অতিবৃষ্টি হলে সড়কগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের দেশের সড়কগুলো পিচঢালা হওয়ার কারণে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কংক্রিটের হলে হয়তো এত দ্রুত নষ্ট হতো না। এবার বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মহাসড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কিছু কিছু জায়গায় সড়ক ভেঙে গেছে, সেতু ভেঙে গেছে, কালভার্ট ভেঙে গেছে এসব কারণে যানজটটা আরও বেশি হচ্ছে। ব্যবস্থাপনার সমস্যার কারণে সাধারণ মানুষকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বহুবিধ সমস্যার কারণে এটা তীব্র আকার ধারণ করেছে। মহাসড়কের যানজট কমিয়ে আনা একেবারে সহজ হবে না। মানুষের চলাচল কিভাবে কমাবেন। এই সমস্যাগুলো দূর করতে ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন দ্বিকেন্দ্রিক করতে হবে। এটা তো আমি বলে ফেললাম দুটো শব্দের মাধ্যমে কিন্তু এটা করাটা খুব কঠিন। তবে এটাই হলো দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা। ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন দ্বিকেন্দ্রিকরণ করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আগামী পাঁচ বছরে, দশ বছরে, বিশ বছরে একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতেই হবে। অর্থাৎ বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, উপজেলা শহরে যেন উন্নয়ন হয়। দেশের সব মানুষকে যেন ঢাকায় আসতে না হয়। সব মানুষকে আবার ঢাকা থেকে যেন বেরিয়ে না যেতে হয়।

পৃথিবীর আর কোনো শহরে এই মাত্রায় যানজট লক্ষ্য করা যায় না। কম বেশি হয়। যেমন পূজার সময় কলকাতা, দিল্লিতে যানজট হয় কিন্তু ঢাকার মাত্রায় হয় না। কাজেই এই সমস্যা সমাধানে ঢাকাকেন্দ্রিক উন্নয়ন দ্বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। মহাসড়কগুলোর লেন বাড়াতে হবে। এবং এর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে নৌ ও রেলপথ সম্প্রসারণ করতে হবে। রেলওয়ের মান উন্নয়ন করতে হবে, তাহলে মহাসড়কের উপর চাপটা কমবে।
পরিচিতি: স্থপতি ও শিক্ষাবিদ

মতামত গ্রহণ: সাগর গনি

Posted in নির্বাচিত কলাম, সারা দেশ | Comments Off on মহাসড়কের উপর চাপ কমাতে নৌ ও রেলপথ সম্প্রসারণ করতে হবে

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, (সরাসরি দেখুন)

স্পোর্টস ডেস্ক : টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে আজ।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি, গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ওয়ান।

মিরপুর টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যদিও আশা জাগানিয়া হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে গালিতে প্যাট কামিন্সের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। চতুর্থ ওভারে ফের প্যাট কামিন্সের আঘাত। জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। ভারসাম্য না রাখাতে বটম এজ হয়ে ম্যাথু ওয়েডের গ্ল্যাভসবন্দী হন ইমরুল কায়েস। হতাশার এখানেই শেষ নয়। পরের বলে গ্ল্যাভসবন্দী হন সাব্বির রহমানও। যদিও আম্পায়ার আলিম দারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ব্যাট মাটিতে স্পর্শ করেছিল; সন্দেহ থাকায় রিভিউ নেন। কিন্তু টিভি আম্পায়ার আগের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৭ রান।

এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র দুটি সিরিজই খেলা হয়েছে। সেই দুই টেস্ট সিরিজে মাত্র চারটি টেস্টেই থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে ১১ বছর আগের সেই অজিদের ঠিকই কাঁপিয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ। আর এবারের চিত্রটা আরও ভিন্ন। ফলে লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডিই হওয়ার

বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচ 🙂 পেজে লাইক দিয়ে এক্টিভ থাকুন

Posted by কাতুকুতু – katukutu on Saturday, August 26, 2017

Posted in খেলাধুলা | Comments Off on ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, (সরাসরি দেখুন)

বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত, নির্যাতিত ও মেহনতি মানুষের নেতা ছিলেন : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত, নির্যাতিত ও মেহনতি মানুষের নেতা ছিলেন।
তিনি বাঙালি জাতির মুক্তি তথা দেশের স্বাধীনতা এবং দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) শওকত আলীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা শওকত আলী, মেজর (অব.) রেজাউল করীম রেজা ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আমজাদ হোসেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের সাথে কোন দিন আপোষ করেননি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, সেই দেশি ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের কেউ রাষ্ট্র পরিচালনা করুক, তা তারা চায়নি। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে থাকার কারণে আল্লাহর অসীম রহমতে বেঁচে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার প্রচেষ্ট চালানো হয়েছিল।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য প্রায় ১২ বছর জেল খেটেছেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তাই করতেন।সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

Posted in ব্যবসা-অর্থনীতি, রাজনীতি | Comments Off on বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত, নির্যাতিত ও মেহনতি মানুষের নেতা ছিলেন : বাণিজ্যমন্ত্রী

২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে : শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্ম মেধার দিক দিয়ে দরিদ্র নয়। দিন দিন এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি হচ্ছে এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি মানও বাড়ছে।
তিনি বলেন,২০২১ সালের আগে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি শনিবার সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ও সিলেট সরকারি কলেজে ১০তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমসি কলেজে মোট ৪৮ কোটি টাকার কাজ হবে। কলেজের ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, অডিটোরিয়াম, প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনের সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগে মন্ত্রী এমসি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এমসি কলেজের কর্মসূচীর পর সিলেট সরকারি কলেজের মসজিদের উত্তর পার্শ্বে আনুমানিক এক বিঘা জমির ওপর শিক্ষামন্ত্রী একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। এর পর কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।
সিলেট সরকারি কলেজে অনার্সের অধিভূক্ত ৫টি বিষয়ের আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ আতাউর রহমান। সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
এতে শিক্ষা ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, এডভোকেট রনজিত সরকারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, স্থানীয়, জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

Posted in শিক্ষা ও সংস্কৃতি | Comments Off on ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হবে : শিক্ষামন্ত্রী

সরকার বন্যাদুর্গত উত্তরাঞ্চলে ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের বন্যাদুর্গত জনরগণের পুনর্বাসনে তাঁর সরকার ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির আওতায় আগামী বোরো ফসল ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত কৃষকরা নানা সুবিধা পাবেন। উত্তরবঙ্গের ছয় জেলার ৬ লাখ কৃষক আগামী ফসল তোলার আগে পর্যন্ত বোরো ফসলের ৫ কেজি করে বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ৫ কেজি করে এমওপি এবং প্রত্যেক কৃষককে ১ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।
একইসঙ্গে সরকার কৃষকদের সহযোগিতার জন্য ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকার একটি প্রণোদনা প্রকল্পও গ্রহণ করেছে। যাতে একজন কৃষক ১০ থেকে ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি এমওপি সার পাবেন। কাজেই কৃষকদের আর সার এবং বীজ নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কৃষকরা ধান ব্যতীত অন্য ফসল উৎপাদন করতে চান এমন স্বল্প সংখ্যক কৃষকের মাঝে বিভিন্ন জাতের বীজ, ডাল এবং অন্যান্য শস্য ও দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গাইবান্ধার গেবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সাধারণ জনগণের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ধানের চারা এই আগষ্ট মাসের ২৪ তারিখ থেকে দেয়া শুরু হবে এবং উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গত এলাকায় তা বিতরণ চলবে, যাতে পানি নেমে যাবার সাথে সাথেই কৃষকেরা চাষবাস শুরু করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধানের চারা বর্তমানে সরকার নিয়ন্ত্রিত দেশের সকল কৃষি গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রায় এক হাজার ভাসমান বীজতলা তৈরী করে এই চারা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এক একজন কৃষক ১ কেজি করে গম এবং দুই কেজি যব বীজ, এক কেজি সরিষা বীজ, ১ কেজি বাদাম বীজ এবং বিভিন্ন রকমের ডাল চাষের জন্য দেয়া হবে। যাতে কৃষকদের যার যা পছন্দ তা তারা মূল ফসলের পরে চাষ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোন জমি অনাবাদি পড়ে থাকবে না। একটা মানুষও না খেয়ে মারা যাবে না। আমরা সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা, পূণর্বাসন ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধূরী মায়া বীর বিক্রম, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম বক্তৃতা করেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, হুইপ মাহবুব আরা গিনি উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যার পরে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই প্রাদুর্ভাব যাতে দেখা না দেয় তাই ইতোমধ্যে ব্লিচিং পাউডারসহ ওষুধপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। মেডিকেল টিম আছে, তারা কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার শুধু ভাত খাইয়ে পেট ভরাতে চায়না, সাথে পুষ্টি নিশ্চিত করাও লক্ষ্য। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই মাছের উৎপাদন, আমিষের উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায়- তা দেখা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের জন্যই আমাদের কাজ এবং আমরা রাষ্ট্র পরিচালনায় এসে নিজেরা বিত্ত-বৈভবে বড় হতে চাই না। আমার বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, প্রতিটি মানুষ যাতে উন্নত জীবন পায়, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এই মৌলিক চাহিদাগুলি যেন পূরণ হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। কাজেই জনগণের সেবা করা, জনগণের কাজ করা-এটাই আমাদের কাজ।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে, যারা প্রিসাইডিং অফিসার, সহ-প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করে, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে তারা এদেশের কোনদিন কল্যাণ আনতে পারে না। তারা শুধু ধ্বংস করতে পারে।
‘এই ধ্বংসের হাত থেকে এই দেশ এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করা-এটাই আমাদের কর্তব্য,’ উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘আমি আপনাদের এটুকুই বলব, যে দোয়া করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আপনাদের পাশে থাকবো। কৃষিঋণ অব্যাহত থাকবে এবং আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য যা যা করণীয়, আমরা তা করবো।’
এই বন্যা দুর্গত এলাকায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা মনোবল নিয়ে থাকবেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে আছি। সেকথা বলার জন্যই আজকে এখানে আমি উপস্থিত হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় জনগণের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘বাবা-মা, ভাই সব হারিয়ে,স্বজন হারাবার বেদনা নিয়েই আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের মাঝেই আমি খুঁজে পেতে চাই আমার হারানো বাবা-মা-ভাইদের ¯েœহ।’
তিনি বলেন, যে ঘাতকের দল বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কেড়ে নিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সবসময় রুখে দাঁড়াবেন।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই বাংলাদেশে কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। আপনারা অভিভাবকেরা খেয়াল রাখবেন- আপনার সন্তান কোথায় যায় এবং কার সঙ্গে মেশে।
তিনি সমাজের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ, প্রশাসন এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
‘মাদক ও জঙ্গিবাদ যেন আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যত নষ্ট করতে না পারে। তার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাবেন,’-যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা করে তারা যেন সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারে এবং তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে এই দেশ যেন সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারে, তারা যেন বিপথে না যায়- সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখার এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রী, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কনফারেন্স হলে জেলা এবং উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বন্যার পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জেলা-উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সচেতন করেন।
প্রয়োজনে রাস্তা কেটে হলেও বন্যার পানি বের করে দেয়ার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী এবং ঐ সমস্ত স্থানে পরে সেতু বা কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়ার জন্য বলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নদী খনন অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী খনন করে পুণরায় ভরে যাওয়া সব চ্যানেল উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এ সময় তিনি বালু সংগ্রহের জন্য সবসময় একইস্থান ব্যবহার না করে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহের আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক উপজেলার জন্য গৃহনির্মাণ এবং চরের জমি সঠিকভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের চলাচলের জন্য যানবাহনের বন্দোবস্তো করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, হুইপ মাহবুব আরা গিনি, মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাসস

Posted in জাতীয়, রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on সরকার বন্যাদুর্গত উত্তরাঞ্চলে ১১৭ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু করেছে : প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

প্রতিনিধি : প্মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের’ রক্ষায় দেশটি কেন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ। ওই রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৮৯ ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ মনে করে ওই রাজ্যের নাগরিকদের রক্ষার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারের এবং বেসামরিক জনগণ বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের যথাযথ সুরক্ষা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারকে আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ আগস্ট রাখাইনে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) কর্তৃক নতুন করে হামলার বিষয়টি বাংলাদেশ লক্ষ্য করেছে এবং এই হামলার প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এই হামলা ক্রমাগত চলায় সংশ্লিষ্ট নিরীহ জনগণের জীবননাশ হয়েছে, ‘যা রাথেডং-বুধিডং এলাকায় সম্প্রতি সেনাবাহিনীর অভিযানে ঘটেছে।’

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সচিব মাহবুব উজ জামানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে ‘রাখাইন রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার’ পরপরই এই বিবৃতিটি ইস্যু করা হয়।
‘এই সমস্যা সমাধানে মূল কারণ অনুসন্ধানে ব্যাপকভাবে ও সার্বিক প্রক্রিয়ায় আলোচনা চলায় সচিব গুরুত্ব দিয়েছেন’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মনে করছে যখন রাখাইন অ্যাডভাইজরি কমিশন, যা কফি আনান কমিশন হিসেবে সমধিক পরিচিত, তার সুপারিশমালা রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির সমাধানে এগিয়ে যাবে, সেই সময়েই এই সন্ত্রাসী হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাসস।

Posted in আইন-আদালত, সারা দেশ | Comments Off on মিয়ানমারের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় পদক্ষেপ চায় বাংলাদেশ

খাদ্যের অভাবে কেউ কষ্ট পাবেনা : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তাঁর সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করে বলেছেন, কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি কেউ খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাবেনা। আমরা চাই দেশের মানুষ যাতে কোন ভাবেই কষ্ট না পাক, সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি’।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিকেলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজ মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ বিতরণকালে একথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত এলাকায় ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসল হতে পারে সেগুলোর জন্য সাহায্য দেয়ার আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
যেমন, গম, সরিষা ও ডাল সহ রবি শষ্যের আবাদ যেন আপনারা করতে পারেন তার ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
’৯৮ সালে দেশের বন্যার প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন থেকেই আমরা বর্গাচাষিদের কৃষিব্যাংকের মাধ্যমে বিনা জমানতে কৃষিঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করি। কাজেই এই কৃষিঋণ বিতরণ আমাদের অব্যাহত থাকবে এবং যেসব এলাকায় বন্যায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের কৃষিঋণের সুদ যাতে না নেয়া হয় এবং বিনা জামানতে যেন আবারো প্রয়োজনে কৃষিঋণ নিতে পারেন সেই ব্যবস্থাও আমরা করার নির্দেশ দিয়েছি। তাছাড়া, আমরা ইতোমধ্যে ১২ জেলার ৭৭৮০ জন কৃষকের প্রত্যেককে এক বিঘা করে জমির ধানের চারা বিতরণের কার্যক্রম ২৪ আগস্ট থেকে শুরু করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৩৭টি হর্টিকালচার সেন্টার এবং ১৬টি এটিআইতে বিএডিসির ১১টি খামারে আমনধানের চারা চাষ করা হয়েছে। এ বছর ১ হাজার বেডের ভাসমান বীজতলাও তৈরী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে মাসকলাই, গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম খেসারি, বেগুন , মুগ ও তিল উৎপাদন বৃদ্ধি যাতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।
৫১ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাতে করে এই ফসল তারা লাগাতে পারেন। ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন কৃষক এই সহায়তা পাচ্ছেন। তাছাড়া প্রায় ১ কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পেয়েছেন। ভতুর্কির টাকা যেন সরাসরি কৃষকদের হাতে পৌঁছতে পারে সেজন্য।
তিনি বলেন, একজন কৃষক যদি একবিঘা জমির জন্য (ক্ষেত্রভেদে) সর্বনিম্ন ১ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ কেজি ডিএপি সার এবং সর্বনিন্ম ৫ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কেজি এমওপি সার পাবেন- সে ব্যবস্থাও আমরা করে দেব।
যাতে সহজভাবে কৃষকরা চাষাবাস করতে পারেন সেজন্যই সরকারের এই উদ্যোগের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক ১ বিঘা জমির জন্য ২০ কেজি গমবীজ অথবা ২ কেজি ভুট্টা বীজ অথবা ১ কেজি সরিষার বীজ অথবা ১ কেজি চীনাবাদাম বীজ অথবা ৫ কেজি মুগ বীজ অথবা ৮ কেজি খেসারি বীজ অথবা ৮ কেজি মাসকলাই বীজ অথবা ৭ কেজি হেলন বীজ অথবা ১ কেজি তীল বীজ অথবা ১০গ্রাম ভিটি বেগুনোর বীজ বিনামূল্যে পাবেন-সেই ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন আবাদি জমি খালি পড়ে থাকবে না। সবটা যাতে চাষবাস হয় সেব্যবস্থাও তাঁর সরকার নেবে এবং ভিজিডি-ভিজিএফ’র মাধ্যমেও তাঁর সরকার এই সময়ে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রাখবে।
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই তাঁর সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, আর নদীর ভাঙ্গন থেকে সমগ্র বাংলাদেশকে রক্ষার বিভিন্ন প্রকল্প তাঁর সরকার হাতে নিয়েছে।
তিনি বলেন, এসব এলাকার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধে তিনটি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। তাছাড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগে বগুড়া-সারিয়াকান্দি রাস্তা যাতে সম্প্রসারণ হতে পারে সে ববস্থাও তাঁর সরকার করবে।
সরকার প্রধান বলেন, সোনাতলায় যে ব্রীজের কথা বলা হয়েছে সেই গার্ডার ব্রীজ সহ সমস্ত ব্রীজগুলি নতুনভাবে করে দেয়ার পদক্ষেপ নেবে তাঁর সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চাই এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। মানুষের কর্মসংস্থান হয়। কাজেই আপনাদের কাছে আমার আহবান থাকবে আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করেন।
বিগত নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দেয়ায় তিনি স্থানীয় জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘২০০৮ এবং ২০১৪’র নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বাংলাদেশকে নদী মাতৃক দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা মাঝে মাঝে আসবে। তাই নৌকা ছাড়া আসলে গতি নাই বাঙালির। নৌকা আমাদের সময় সময় কাজে লাগবেই। এটা হলো বাস্তবতা। আর এই নৌকা মার্কা যখন ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর জীবনে আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে বলেন, আমি আপনাদের এইটুকুই বলতে চাই- বাবা, মা, ভাই- সব হারিয়েছি। আমারতো আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
বঙ্গবন্ধু তাঁর সারাটা জীবন দেশের মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে গেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘তিনি জেল,জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন বাংলার দু:খী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে তিনি তাঁর জীবন দিয়ে গেছেন। জীবন দিয়ে গেছেন আমার মা, আমার ভাইয়েরা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, ঘরবাড়ি ও উন্নত জীবন পাবে- সেই লক্ষ্যই জাতির পিতার ছিল। আর সেই লক্ষ্য ইনশাল্লাহ পূরণ করে দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাদেশকে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করতে চাই। যেখানে কোন দরিদ্র থাকবে না। মানুষরা প্রত্যেকে উন্নত জীবনের অধিকারি হবে।
সরকার প্রধান দেশবাসী সহ বন্যা দুর্গতদের প্রতি দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূখন্ড উৎপাদনের কাজে ব্যয় করার আহবান জানিয়ে বলেন, ১ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কারণ ভিক্ষা চাইলে ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না তা জাতির পিতাই বলে গেছেন।
বিএনপি সবসময় চাইতো এই বাংলাদেশের মানুষকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯৮ সালে বন্যার পর বাংলাদেশকে যখন আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করি তখন ঐ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তাদের অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ঐ সংসদে দাঁড়িযে বলতেন-খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো নয়, কেননা এতে করে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ ভিক্ষা পাওয়া যাবেনা’
শেখ হাসিনা তখন সংসদে বলেছিলেন, আমরা ভিক্ষুকের জাতি হতে চাইনা। কিন্তু আপনারা যদি ভিক্ষুকের সর্দার হতে চান তবে, তাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা বাংলাদেশকে ভিক্ষুক, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো ।
আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে খাদ্য উৎপাদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো এবং সন্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দ্বার্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেন- বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, বাংলাদেশকে আজকে সকলে উন্নয়নের রোল মডেল বলে, অন্তত এইটুকু সন্মান আওয়ামী লীগ আপনাদের জন্য এনে দিয়েছে। এতে আপনারাই সহযোগিতা করেছেন। আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তাই আপনাদের জীবনমান যেন উন্নত হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করতে সক্ষম হয়েছি। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যাতে ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছায় তাঁর সরকার সেজন্য ইতোমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি অঞ্চলেই খাদ্য পৌঁছে যাবে। ওষুধ পৌঁছে যাবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে, একটি মানুষ যাতে কষ্ট না পায় আপনারাও সেটা লক্ষ্য রাখবেন। আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আমি বলবো এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আগুণ সন্ত্রাসের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, আমার অবাক লাগে একটা রাজনৈতিক দলের নেতা কিভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু:খের কথা কি বলবো জাতির পিতা, বেগম মুজিব, ছোট্ট রাসেল সহ আমার পরিবারের সদস্যদের যারা হত্যা করেছে সেই খুনীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স (বিচার করা যাবে না) জারি করে এই জিয়াউর রহমান সেই খুনীদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।
তিনি বলেন, একদিকে যেমন তাঁদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরতে দেয়নি অন্যদিকে খুনীদের পুরস্কৃত করেছে।
তিনি বলেন, যারা খুনীদের পুরস্কৃত করে তাদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করে তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ কি আশা করতে পারে। তারাতো মানুষ খুন করা ছাড়া, পুড়িয়ে মানুষ মারা ছাড়া আর কিছু জানে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে জনগণ ভালো থাকে। আওয়ামী লীগ সরকারের আসলে এদেশের মানুষ দু’বেলা পেটভরে ভাত পায়। আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বিনা পয়সায় বই পায়। রোগে চিকিৎসা পায়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়। দারিদ্র হ্রাস পায়।
তিনি বলেন, আমরা দেশের সেবা করি, মানুষের সেবা করি। তাইতো আজকে ছুটে এসেছি- আপনাদের মাঝে, আপনাদের স্বচক্ষে দেখতে। আমি জানি সারা বাংলাদেশের যেখানে যেখানে বন্যা সেখানে মানুষ কত কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তুু আল্লাহর রহমতে এইটুকু কথা দিতে পারি এই বন্যায় কাউকে আমরা কষ্ট পেতে দেব না। আপনাদের যাদের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে তাদের প্রত্যেককে আমরা ঘরবাড়ি তৈরী করে দেব। আমরা টিন দেব, নগদ টাকা আমরা ইতোমধ্যে দেয়া শুরু করেছি, আরো দেব।
সরকার প্রধান বলেন, নদীতে যাদের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে যারা নি:স্ব, ভূমিহীন হয়ে গেছেন তাদের প্রত্যেককে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে জমি দেব। যেসব স্কুল কলেজ ধ্বংস হয়েছে সেগুলো আমরা মেরামত এবং তৈরী করে দেব।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক হাজার জনের মধে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাঁওতাল পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজে জেলা এবং উপজেলা পরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। বিকেলেই তিনি রাজধানীতে ফিরে আসেন। বাসস।

Posted in জাতীয়, রাজনীতি, সারা দেশ | Comments Off on খাদ্যের অভাবে কেউ কষ্ট পাবেনা : প্রধানমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এ বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্বান্ত নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে শুরুতে দুই উইকেট পড়ে যায়। প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে ক্রিজে আছেন সাকিব ও তামিম।

দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে তিন স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম রয়েছেন স্পিন বিভাগে। একাদশে সুযোগ পাননি লিটন কুমার দাস, মোমিনুল হক ও তাসকিন আহমেদ।

বাংলাদেশ দল : মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, নাসির হোসেন, মেহেদি হাসান, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।

অস্ট্রেলিয়া দল : স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাথু রেনশ, উসমান খাজা, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটরক্ষক), অ্যাস্টন আগার, প্যাট কামিন্স, নাথান লিঁও ও জশ হ্যাজেলউড।

Posted in খেলাধুলা | Comments Off on অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এ বাংলাদেশ

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud