পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

রোজায় খেজুরের উপকারিতা

Posted on June 2, 2017 | in স্বাস্থ্য | by

লাইফস্টাইল ডেস্ক : পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল দেয় তাৎক্ষণিক শক্তি।

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয় বৈজ্ঞানিকভাবেও খেজুরের রয়েছে নানান উপকারিতা।

তাৎক্ষণিক কর্মশক্তি: নয়া দিল্লির ফোর্টিস লা ফেম হাসপাতালের ক্লিনিকাল পুষ্টিবিদ লাভনিত বাত্রা বলেন, “খেজুর হল পুষ্টির ক্যাপসুল। এতে প্রচুর চিনি বা শর্করা থাকায় এক কামড়েই কর্মশক্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। পাশাপাশি এটি মস্তিষ্ককে সতর্ক করে তোলে এবং অবসাদ দূর করে। তাই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখার পর শরীরের অবসাদ দূর করতে খেজুর অত্যন্ত উপকারী।”

এতে আরও রয়েছে লৌহ, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আঁশ, গ্লুকোজ, ম্যাগনেসিয়াম, সুক্রোজ ইত্যাদি যা শরীরকে চাঙা করে তুলতে পারে মাত্র আধা ঘণ্টাতেই।

অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ: রোজার রাখার কারণে অনেকেই বুক জ্বালাপোড়া, অ্যাসিডিটি ইত্যাদি সমস্যায় ভোগেন, যার সমাধান খেজুর। এটি শরীরে অম্ল তৈরির পরিমাণ কমায় এবং পাকস্থলীকে আরাম দেয়।

বাড়তি খাওয়া নিয়ন্ত্রণ: রোজার মাসে ইফতারে বেশি খেয়ে ফেলা অতি সাধারণ ব্যাপার। যার একটি কারণ হল, সারাদিন না খেয়ে থাকার পর শরীরও চায় খাবার সঞ্চয় করে রাখতে।

বাত্রা বলেন, “ইফতারের সময় ধীরগতিতে খান খুব কম মানুষই। তড়িঘড়ি করে গোগ্রাসে গেলার কারণে বেশিরভাগ সময়ই বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তাই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙলে এতে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে শরীরের সময় বেশি লাগে। ফলে, দীর্ঘসময় ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর খেজুরে থাকা আঁশ বাড়তি খাওয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।”

হজমে সহায়ক: সারাদিন না খেয়ে থাকার পর একসঙ্গে অনেক খাবার খাওয়ার কারণে হজম প্রক্রিয়ার উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তবে পাকস্থলিতে হজমে সহায়ক  ‘এনজাইমেস’ নিঃসরণ এবং নিয়মিত মল অপসারণে সহায়তা করার মাধ্যমে একমুঠ খেজুর এই সমস্যা সমাধানে সক্ষম।

শরীরের বিষাক্ত উপাদান অপসারণ: শরীরে জমা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল অপসারণে সহায়ক খেজুর।

সূত্র : বিডিনিউজ২৪।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud