April 19, 2024
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত সাত আসামিকে তামিলনাড়ু সরকারের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে যাবজ্জীবন বহাল রাখতে রাজ্য সরকারকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়, রাজীব গান্ধীকে হত্যার দায়ে গত মঙ্গলবার তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন প্রধান বিচারপতি পি সদাশিবমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ। এই তিন আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে দীর্ঘ ১১ বছর অপেক্ষা করার পরও কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। এর পর তামিলনাড়ুর মন্ত্রিসভা গতকাল বুধবার ওই তিনজনসহ মামলার অন্য আসামিদের মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতা।
এ ঘোষণার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত তামিলনাড়ু সরকারকে আসামিদের সাজা মওকুফের সুযোগ নেই বলে নোটিশ জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত ভেলুর কারা কর্তৃপক্ষকে এবং রাজ্য সরকারকে ৬ মার্চ পর্যন্ত আসামিদের মুক্তি না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজীব গান্ধীকে ১৯৯১ সালের মে মাসে হত্যা করা হয়। হত্যায় জড়িত আসামিরা সবাই শ্রীলঙ্কাভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লিবারেশন টাইগার অব তামিল ইলমের (এলটিটিই) সদস্য।
শ্রীলঙ্কায় ১৯৮৭ সালে ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ওপর ক্ষুব্ধ হয় তামিল গেরিলারা। অবশ্য তাঁকে হত্যা করার ঘটনায় ২০০৬ সালে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে এলটিটিই। শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনী ২০০৯ সালে অভিযান চালিয়ে এলটিটিইকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে।