March 29, 2024
ঢাকা : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মহাজোট সরকারের সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মান্নান খানকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় দুদক কমিশনার শাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আবদুল মান্নান খানকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আসতে পারবেন না বলে তিনি একটি আবেদন পাঠিয়েছেন। মানবিক বিবেচনায় আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা পুনরায় তারিখ নির্ধারণ করে তাকে আগামী সপ্তাহে আবারো চিঠি দেবেন। দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এডভোকেট আব্দুল মান্নান বিগত মহাজোট সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী থাকাবস্থায় বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। পাঁচ বছর আগে তার সাকুল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল। গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে সেটা হয়েছে ১১ কোটি তিন লাখ টাকা। আগে তার বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা। সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকায়। পাঁচ বছরের মন্ত্রিত্বকালে তার সম্পত্তি ১০৭ গুণ বেড়েছে। এছাড়াও তার অপ্রদর্শিত অনেক সম্পত্তিও রয়েছে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি জানতে ও হলফনামায় উল্লেখ বহির্ভূত কোনো সম্পত্তি আছে কি-না তা অনুসন্ধান করতে তাকে জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছে। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন সরকারের সাবেক সাত মন্ত্রী-এমপির হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বৃদ্ধি ও অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে সাত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন। ইতিমধ্যে বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান বদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।