March 26, 2025
আমাদের মধ্যে অনেকের ধারণা যে যদি সাধারণ মানুষ কোরআনের তাফসির পরে তবে তারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বে। কোরআন শুধু আলেম ওলামাগণের বুঝার বিষয়। এমন কথার প্রেক্ষিতে মনে হতে পারে যে আল্লাহ্ তাহলে এই কোরআন শুধু মাত্র আলেম ওলামাগণের জন্য নাযিল করেছেন।
পবিত্র কোরআন হল আল্লাহ্র পক্ষ থেকে বান্দার কাছে সরাসরি বার্তা। যদি কেও এই বার্তা নিজে বুঝার চেষ্টা না করে অন্নের মাধ্যমে জানাকে নিরাপদ মনে করে তাহলে সেটা ভালো লক্ষন নয়। কোরআনের প্রথম দাবিই হল নিজে পড়, অন্যের মাধ্যমে নয়। আল্লাহ্ বলেন, “তুমি পড়, তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন”। (সূরা আলাক, আয়াত-১)
এই পড়ার নির্দেশ সকলের জন্য। এখানে বলা হয়নি যে হে আলেমগণ তোমরা পড়। আবার এটাও বলা হয়নি যে তোমার অর্থ বুঝা ছাড়া পড়। তাই পড়তে হবে নিজে, কোন আলেমকে দিয়ে নয়। পড়তে হবে অর্থসহ। অর্থ ও ব্যাখ্যা ছাড়া যারা পড়তে চান তাদেরকে আল্লাহ্ বলছেন, “তারা কি কোরআন অনুধাবনের চেষ্টা করে না? নাকি তাদের অন্তরসমূহের উপর তালা ঝুলে আছে? (সূরা মোহাম্মদ, আয়াত-২৪)
আল্লাহ আরও বলেন, “কোরআনকে আমি বুঝার ও উপদেশ গ্রহন করার জন্য সহজ করে দিয়েছি। আছে কি কেউ বুঝার মত”। (সূরা কামার, আয়াত ৪০)
এতে আল্লাহ্ তার বান্দাদের কি বুঝাতে চেয়েছে তাকি স্পষ্ট নয়? হ্যাঁ, কোরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়ে এক শ্রেণীর মানুষ বিভ্রান্ত হবে তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, “এ (কোরআন) দ্বারা (আল্লাহ্) অনেককে বিভ্রান্ত করেন আবার এর দ্বারাই অনেককে সুপথ দেখান। তবে ফাসেক ব্যতীত এর দ্বারা কেউ বিভ্রান্ত হয় না”। (সূরা বাকারা, আয়াত-২৬)
আল্লাহ্ আরও বলেন, “আমি কোরআনে যা কিছু নাযিল করেছি টা হচ্ছে ইমানদারদের জন্য উপকারী ও রহমত; যা যালেমের জন্য ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করে না”। (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত-৮২)