October 15, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীতে প্রতিদিন উৎপাদিত বর্জ্যের অর্ধেক দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ লক্ষে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি। বুধবার (১২ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তার কাছে জানা যায় এসব তথ্য।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুর পর ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ সময় সরকারি দলের সদস্য বজলুল হক হারুণের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দৈনিক উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ৬-৭ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত এই বর্জ্যের মাত্র অর্ধেক (তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন) বর্জ্য স্তুপিকরণ এলাকা বা ডাম্পিং সাইটে যায়। এই পরিমাণ বর্জ্য দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব।’
বিজ্ঞানভিত্তিক পরিবেশসম্মত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কীভাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও এনার্জি উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানান নসরুল হামিদ। তার ভাষ্য, ‘ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে এক মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর কার্যক্রম চলমান আছে। এই প্রকল্পে দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্জ্য সরবরাহের লক্ষ্যে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি চুক্তি সই হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, একটি পাইলট প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়া এলাকায় সাড়ে চার হাজার আবাসিক প্রি–পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। জরিপে প্রকল্পের ফল সন্তোষজনক। গ্রাহকদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যবহারের সুবাদে প্রতিটি ডাবল বার্নার চুলায় গড়ে ৩৩ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হতে দেখা যায়। এডিবির অর্থায়নে ৮ হাজার ৬০০টি আবাসিক প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। জাপান সরকারের ৩৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের আওতায় টিজিটিডিসিএল কর্তৃক দু্ই লাখ আবাসিক প্রি–পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্প আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এছাড়া ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে চট্টগ্রাম এলাকায় ৬০ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে এখন পর্যন্ত ২৬টি গ্যাসক্ষেত্র, পাঁচটি কয়লাক্ষেত্র, একটি কঠিন
শিলাক্ষেত্র, একটি চুনাপাথরক্ষেত্র ও কয়েকটি পিট ডিপোজিট আবিষ্কৃত হয়েছে। ২৬টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে ২০টির উৎপাদন চলমান আছে। চারটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে এবং দুটি ক্ষেত্র এখনও উৎপাদনে যায়নি।
সূত্র : বাংলাাট্রিবিউন।