March 26, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢল থেকে পানি নেমে আসায় যমুনা নদীসহ স্থানীয় নদীর পানি বেড়েছে। এখনও যমুনা নদীর পানি টাঙ্গাইল অংশে ১৫০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে।টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নওগা এলাকায় ঝিনাই নদীর একটি বাঁধ ভেঙ্গে বাসাইল ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
এখনও ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, নাগরপুর, কালিহাতী ও বাসাইল উপজেলার অন্তত ১ লাখেরও বেশি মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। বন্যার পানি বিদ্যালয়ে ঢুকে পরায় জেলার ১৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর জানান, বন্যায় জেলার অন্তত ১৪০ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে ক্ষতি পুশিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ৬ সে.মি.। যমুনার উজানে পানি স্থিতিশীল থাকায় টাঙ্গাইল বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।এদিকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ১ মিটার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশার কথা, পানি আর বাড়ছে না।
এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৩৫০টি গ্রাম।অভ্যন্তরীণ নদীগুলোয় পানি এখনো বাড়ছে। উল্লাপাড়ায় বাখুয়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ফাইম হোসেন (২) নামের এক শিশু মারা গেছে।গতকাল বুধবার রাত নয়টা থেকে পানি বিপৎসীমার ওপরেই স্থিতিশীল রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের রানীগ্রাম থেকে খোকসাবাড়ি আনসার মোড় পর্যন্ত বাঁধের বিভিন্ন স্থানে পানি চুঁইয়ে পড়ছে।
জেলার ৫০টি ইউনিয়নের ৩৫০টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এলাকার প্রায় চার লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী। শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে ৬ হাজার ৬০০ মানুষ।বন্যায় তলিয়ে গেছে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, পাট ও সবজি।