April 27, 2025
বিশেষ প্রতিনিধি: ইয়েমেনে কর্মরত বাংলাদেশীরা বাঁচতে চান। দেশটিতে চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে আটকেপড়া বাংলাদেশীরা চরম নিরাপত্তার হুমকিতে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।
উদ্ধার তৎপরতার অগ্রগতি সম্পর্কে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক মো. নাজমুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি বিষয়টি দেখছেন না জানিয়ে কাউন্সিলর শাখার মহাপরিচালক বা পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহির্বিভাগ শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। মন্ত্রণালয়ের কাউন্সিলর শাখা বলতে পারবে। কাউন্সিলর শাখার মহাপরিচালক মো. লুৎফর রহমান ও পরিচালক বি এম জামাল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইয়েমেনে কর্মরত বাংলাদেশীদের সহায়তার জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়। ১ এপ্রিল মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য দেওয়া হলেও নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। হেল্পলাইনগুলো হল— ০০৯৬৫-৫০৫৭ ০৭৫৪ ও ০০৯৬৫-৯৪৯৩ ৪৩৬৩। এ ছাড়া হেল্পলাইনের ঢাকার নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে দেখা গেছে, নম্বরগুলোতে রিং হয়, কিন্তু কেউ রিসিভ করেন না। ঢাকার নম্বরগুলো হচ্ছে— ০১৭১২৬২৬০৯৬৭ ও ০১৭১১৩৮০৩৭৪।
এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম রবিবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘ইয়েমেনের সানা শহরের পাশের আল হুদাইদা শহর থেকে ভারতীয় জাহাজের সহায়তায় তিন বাংলাদেশীকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী দেশ জিবুতিতে নেওয়া হয়েছে।’
এর তিন ঘণ্টা পর প্রতিমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘সানা শহর থেকে বাংলাদেশীদের উদ্ধারের জন্য আমরা এয়ারক্রাফটের ব্যবস্থা করছি। প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়া গেলে বিমানের ব্যবস্থা করা হবে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইয়েমেনে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বাংলাদেশী কর্মরত আছেন। এ সংখ্যা সানা ও এ্যাডেন শহরে বেশি। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কাউন্সিলর এস এম মাহবুবুল আলম আটকেপড়া বাংলাদেশীদের উদ্ধারে শুক্রবার ইয়েমেনে পৌঁছান। তিনি জিবুতিতে অবস্থান করে বাংলাদেশীদের হালনাগাদ তালিকা প্রস্তুত এবং আটকেপড়াদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
সুত্র…দ্যা রিপাের্ট