পৃথিবীকে জেনে নিন আপনার ভাষায়….24 Hrs Online Newspaper

নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামাতে বলা কোন মতলবে : এ কে আজাদ

Posted on August 17, 2017 | in নির্বাচন কমিশন | by

প্রতিবেদক : নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামাতে হবে, এটি কোনো মতলব বা কুমতল বলে মন্তব্য করেছেন সরকার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় ও শেষ দিনের মতবিনিময সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় সিনয়র সাংবাদিক জ. ই. মামুন বলেন, নিবার্চন কমিশন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা জনগণের জন্য কাজ করবেন। সরকারের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারা জনগণের বিপক্ষে কোনো কাজ করবে না।

এসময় জ. ই. মামুন আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদের আরো আশ্বস্ত করেছেন তারা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় এ সভা শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের সভায় গণমাধ্যমের ৩৪ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানায় কমিশন। সেখান থেকে ২০ জন প্রতিনিধি সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে ইসি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তা হচ্ছে- বিদ্যমান ইংরেজি আইন কাঠামো বিশেষ করে ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার ১৯৭২’ এবং ‘দ্য ডিলিমিটেশন অব কনস্টিটিউশন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬’ যুগোপযোগী করে বাংলা ভাষায় প্রণয়ন। বিগত নির্বাচন সমূহের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অবৈধ অর্থ এবং পেশী শক্তির ব্যবহার রোধ কল্পে আইনি কাঠামো সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবনা। সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ কল্পে জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, সংসদীয় এলাকার আয়তন, প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ। নির্বাচন প্রক্রিয়া যুগোপযোগী ও সহজীকরণের বিষয়ে আইনি কাঠামো ও প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন। প্রবাসী ভোটারদের ভোটদান নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি আইন কাঠামোসহ প্রক্রিয়া প্রণয়নের জন্য প্রস্তাবনা।
এজেন্ডার মধ্যে আরো রয়েছে- কর্ম পরিকল্পনায় বর্ণিত অন্য কাঠামোকে যুগোপযোগী করার প্রস্তাবনা। নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও বিতরণ নিশ্চিত করার জন্য পরামর্শ। ভোট কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম যুগোপযোগী করার জন্য পরামর্শ। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নিরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তাবনা। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সক্ষমতা বাড়ানোর কর্ম পরিকল্পনার অতিরিক্ত কোনো প্রস্তাবনা।
এর আগে ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এ সংলাপ শুরু হয়। সেদিন ৫৯ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হলে সেখান থেকে অন্তত ৩৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এরপর বুধবার প্রথম দিনে গণমাধ্যমের ৩৭ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানালে সেখান থেকে ২৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে ২০টি প্রস্তাবনা দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

Comments are closed.

সর্বশেষ খবর

আজকের ছবি

www.facebook.com

Tag Cloud