October 15, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : গণমাধ্যমে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব যেভাবে প্রচার করা হয়েছে, বাস্তবে তা নয় বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘এই রোগের মহামারি রূপ ধারণ করার প্রশ্নই উঠে না।’
শনিবার (২২ জুলাই) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু সম্পর্কিত বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় মেয়র সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
সভায় সাঈদ খোকন ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক,স্বাস্থ্যসচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের ডা. টিটু মিয়া, অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় চিকুনগুনিয়া রোগের ধরন ও গতিবিধি বুঝতে সময় লাগলেও প্রাদুর্ভাবের কয়েকদিন পরই মাঠে নেমেছে সিটি করপোরেশন। তবে মশক নিধনসহ চিকুনগুনিয়া বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে সিটি করপোরেশন। আর সিটি করপোরেশনের সরবরাহ করা মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসাসেবা দিতে সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল টিম বাসায় পৌঁছে যাবে।’ তবে নতুন নতুন ভাইরাস ও রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন মেয়র সাঈদ খোকন।
একই সুরে কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমেছে। মশক নিধন কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন প্রকার মশা চিহিৃত করে তাদের প্রকৃত প্রজননস্থান ও বাহিত ভাইরাস এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ নিয়ে গবেষণা করতে হবে।’
মশা বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘দেশে ১২৩ প্রকারের মশা রয়েছে। তবে চার থেকে পাঁচ প্রকারের মশাই বেশ আলোচিত। বাকি অনেক মশার ক্ষতিকারক দিক ও গতিবিধি এখন পর্যন্ত বের করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। এ বিষয়ে ব্যাপক গবেষণা দরকার। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে প্রাদুর্ভাব হওয়া সংক্রামক রোগসমূহ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি থাকতে হবে। বিগত সময়ের অভিজ্ঞতাসমূহ তাই বলে দিচ্ছে। বর্তমানে রাজধানীর ২ হাজার বাসায় গিয়ে বিভিন্ন প্রকার মশার নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে। পরবর্তীতে এই পর্যবেক্ষণমূলক কাজের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’
সূত্র : বিডিনিউজ২৪।