December 6, 2024
ডেস্ক রিপোর্ট : জামদানির পর ইলিশের মেধাসত্ত্বও পেলো বাংলাদেশ। পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বলছে, ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধনের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ। চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের হাতে ইলিশের জিআই নিবন্ধনের সনদ তুলে দেয়ার আশা করছেন পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্টার সানোয়ার হোসেন।
স্বাদে, ঘ্রাণে অনন্য হওয়ায় বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে ইলিশের একক মালিকানা পাওয়ার লক্ষ্যে জিআই নিবন্ধনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর।
আন্তর্জাতিক মেধাসত্ত্ব বিষয়ক সংস্থা’ ওয়াইপিও’র শর্ত মেনে বাংলাদেশে ইলিশের জন্ম ও বিস্তার’সহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর তথ্য প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণ শেষে চলতি বছরের ১জুন নিজস্ব জার্নালে ৪৯ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর। আশঙ্কা ছিলো প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার ইলিশের জিআই নিবন্ধনের ব্যাপারে আপত্তি জানাতে পারে। কিন্তু নিবন্ধ প্রকাশের দু’মাস পেরিয়ে গেলেও আপত্তি তোলে নি কোন দেশই।
পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্টার সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘জার্নাল প্রকাশের দুই মাস অপেক্ষা করতে হয় বাধ্যতামূলক। সেই দুই মাস গত ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে। আমরা কোন আপত্তি পাইনি। সুতরাং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা বাংলাদেশের ইলিশের নিবন্ধন দিতে যাচ্ছি।’
জিআই পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এর কদর আরো বাড়বে বলে মনে করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে যে ইলিশ উৎপাদিত হয় তার সিংহভাগের উৎপাদনকারী বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইলিশ রক্ষায় পাইওনিয়র। আমরা মনে হয় এটা সেটারই স্বীকৃতি।’
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় ইলিশ বিপণনের ক্ষেত্রে স্বত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে। এরফলে বর্তমানের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেশি দাম পাবেন জেলেরা।
সময়টিভি অনলাইন